ফাইল চিত্র।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় এ বার ইস্পাতের আবাসন তৈরির সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। আপাতত বাইপাস সংলগ্ন পাটুলিতে এমনই চারতলা বহুতল তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। এই প্রকল্প সফল হলে রাজ্যের বিপর্যয় প্রবণ এলাকায় এই ধরনের আরও বহুতল তৈরি হবে।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে বসবাসকারী কর্মীদের নতুন এই বহুতলে স্থানান্তরিত করতে ইতিমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে চারতলা ভবনে মোট ৩২টি ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। এই ভবনের কাঠামো এবং মেঝে ইস্পাত দিয়ে তৈরি করা হবে। তবে বাসিন্দাদের দাবি মেনে, ঘরের দেওয়াল ইট অথবা কংক্রিটের হবে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, চেন্নাই-সহ দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায় এমন ইস্পাতের বাড়ি বা অফিস রয়েছে। কয়েক দিন আগেই এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কেএমডিএ আধিকারিকেরা আলোচনায় বসেন। এই প্রকল্প সফল হলে কোনও ভবন দ্রুত তৈরি করতে টেকসই এই প্রকল্প আরও করা হবে বলেও মত কর্তৃপক্ষের।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, রবীন্দ্র সরোবর রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য নিযুক্ত কর্মীদের কোয়ার্টার্স রয়েছে সেখানে বহু দিন ধরেই। পরিবেশ আদালতের অভিযোগ, বসবাসকারী কর্মীদের জন্যও সরোবর চত্বর নোংরা হচ্ছে। সে কারণেই কর্তৃপক্ষ তাঁদের দ্রুত অন্যত্র সরাতে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
পরিবেশকর্মী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরোবর চত্বরে কর্মীরা থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই ওই এলাকা নোংরা হচ্ছে। গাড়িও ঢুকছে। ফলে পরোক্ষ ভাবে সরোবরের ক্ষতি হচ্ছে তো বটেই। এ জন্য কর্মীদের ওখান থেকে সরাতে অনেক বারই বলা হয়েছিল।’’ কেএমডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, কর্মীদের কোয়ার্টার্স অন্যত্র স্থানান্তরিত হলে পুরনো জায়গায় উদ্যান তৈরি করা হবে।
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কংক্রিটের বাড়ি তৈরি করা সময় সাপেক্ষ। সে কারণে এই বিকল্প ব্যবস্থা। ঝড় অথবা ভূমিকম্পে বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইস্পাতের তৈরি বাড়িই উপযুক্ত। সে কারণেই প্রাথমিক ভাবে ইস্পাতের আবাসন তৈরি করে পাটুলিতে দফতরের কর্মীদের কয়েকটি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ মন্ত্রী জানান, রাজ্যের কোন অংশে কী ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়, আগে তার সমীক্ষা করা হবে। সমীক্ষার ফলাফল খতিয়ে দেখে ওই ধরনের আরও আবাসন তৈরির সিদ্ধান্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy