Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রবীন্দ্র সরোবরে নিম, ছাতিমের চারা পুঁতবে কেএমডিএ

কেএমডিএ নিয়ন্ত্রিত কোনও বাগান বা সরোবরে বড় গাছ লাগানো যাবে না। কারণ, ঝড়ে বড় গাছ পড়ে বিপদের আশঙ্কা থাকে। সেই কারণে, নতুন করে যে সব গাছ পোঁতা হবে, তা উচ্চতায় যেন খুব বড় না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আপাতত, কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ বাহারি বা ছোট গাছ লাগাবেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৯ ০০:৪৩
Share: Save:

কলকাতা পুরসভার ধাঁচে এ বার বনসৃজনের পরিকল্পনা করেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

কেএমডিএ নিয়ন্ত্রিত কোনও বাগান বা সরোবরে বড় গাছ লাগানো যাবে না। কারণ, ঝড়ে বড় গাছ পড়ে বিপদের আশঙ্কা থাকে। সেই কারণে, নতুন করে যে সব গাছ পোঁতা হবে, তা উচ্চতায় যেন খুব বড় না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আপাতত, কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ বাহারি বা ছোট গাছ লাগাবেন।

সম্প্রতি, এই জাতীয় সরোবরে দ্বিতীয় পর্যায়ে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে ছোট গাছ লাগানো ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। একই ভাবে সুভাষ সরোবর-সহ সমস্ত পার্কেই এই ধরনের বড় গাছ পোঁতা হবে। এই গাছগুলির মধ্যে রয়েছে নিম, ছাতিম, রঙ্গন প্রভৃতি ছোট গাছ। তবে, কোনও পরিস্থিতিতেই কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, বট এবং অশ্বত্থ গাছ পোঁতা যাবে না। প্রয়োজনে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ বৃক্ষরোপণের জন্য কলকাতা পুরসভার সঙ্গেও যোগাযোগ করবে। আপাতত বনসৃজনের জন্য একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, কৃষ্ণচূড়া অথবা রাধাচূড়ার মতো গাছ দ্রুত বড় হয়। তা ছাড়াও, এই গাছগুলির শাখাপ্রশাখাও ঝড়ে ভেঙে পড়ে। কদম ফুল রাস্তায় পড়ে থাকার ফলে তা পিচ্ছিল হয়। ফলে, পার্কে বা সরোবরে রাস্তায় প্রাতর্ভ্রমণের সময়ে পথচারীরা পড়ে যেতে পারেন। তা ছাড়া যে কোনও গাছ পোঁতার সময়েই বনসৃজনের নিয়ম মানা হবে। এ ছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের পরেও প্রতিটি গাছের পাতা ছাঁটা হবে বলেও তাঁদের দাবি। কিছু দিন আগেও রবীন্দ্র সরোবরে গাছের ডাল ভেঙে পড়া নিয়ে গোলমাল হয়। পরে অবশ্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিষয়টির সমাধান হয়।

ঝড়ে গাছ পড়ে যাবার পরেই কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শহরের কোথাও বড় গাছ লাগানো হবে না। বট, অশ্বত্থের মতো যে সমস্ত পুরনো গাছ রয়েছে সেগুলির বর্তমান অবস্থা কী তা নিয়েও পুরসভার উদ্যান দফতরের একটি সমীক্ষা করার কথা। তা ছাড়াও, শহরে কোথায় কারা কী ভাবে গাছ পুঁতবেন, সেই ব্যাপারেও পুর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। পুর-উদ্যান দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যেখানে সেখানে গাছ পুঁতলে বনসৃজন প্রকল্প ব্যহত হয়। সেই কারণে শহরের রাস্তায় অথবা পার্ক কিংবা উদ্যানে বনসৃজনের সময়ে দু’টি গাছের মধ্যে অন্তত পক্ষে ১০ ফুট দূরত্ব থাকবে। গাছের শিকড় প্রায় ৩ ফুট মাটির গভীরে যাবে। বনসৃজনের সময়ে দেখতে হবে গাছের গোড়ায় কতখানি মাটি রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rabindra Sarobar KMDA Saplings
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE