Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ক্ষোভের মুখে মেট্রো

টোকেনের মূল্য এবং গন্তব্যের নাম ভাল করে দেখে নেওয়ার জন্য বছরখানেক আগে মেট্রোর কাউন্টারে বড় আকারের মনিটর বসানো হলেও তাতে যে সমস্যা মেটেনি, তা মেট্রো কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট এবং তাতে যাত্রীদের প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ফিরোজ ইসলাম
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৬
Share: Save:

টোকেন কিনে কাউন্টার ছাড়ার আগে টাকার অঙ্ক মিলিয়ে দেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তার জন্য যাত্রীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেন তাঁরা। বেহাল পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি যাত্রীদের একাংশ সরব হলেন বুকিং কাউন্টারের কর্মীদের ভুলে যাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়া নিয়েও।

টোকেনের মূল্য এবং গন্তব্যের নাম ভাল করে দেখে নেওয়ার জন্য বছরখানেক আগে মেট্রোর কাউন্টারে বড় আকারের মনিটর বসানো হলেও তাতে যে সমস্যা মেটেনি, তা মেট্রো কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট এবং তাতে যাত্রীদের প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট।

মেট্রো সূত্রের খবর, গত ৩ এপ্রিল তাদের একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, যাত্রীরা যেন টিকিট কাউন্টার ছাড়ার আগে টোকেনের মূল্য মিলিয়ে দেখে নেন। সেই পোস্ট পড়ে একাধিক যাত্রী মেট্রোর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। দীপ গুপ্ত নামে এক যাত্রীর অভিযোগ, রাতের শেষ ট্রেন স্টেশনে ঢোকার চার মিনিট আগেই কালীঘাটে টিকিট কাউন্টার মুখের উপরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেবজ্যোতি রায়চৌধুরী নামে আর এক যাত্রীর বক্তব্য, কাউন্টারে টোকেন বিক্রির সময়ে রবীন্দ্র সদন ও রবীন্দ্র সরোবরের মধ্যে প্রায়ই গুলিয়ে ফেলেন মেট্রোকর্মীরা। মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য ফেসবুকে যাত্রীদের এই সমস্ত অভিযোগের কোনও জবাব দেননি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তা হলে ওই পোস্ট কেন?

মেট্রো সূত্রের খবর, আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরানোর প্রশ্নে কর্তৃপক্ষের তৎপরতা সম্প্রতি অনেকটাই বেড়েছে। যাত্রী-ভাড়া খাতে আয় বাড়ানোর পাশাপাশি বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য খাতে আয় বাড়ানোর উপরেও জোর দিচ্ছেন তাঁরা। একই ভাবে ভুল টোকেন নিয়ে ভ্রমণকারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে জরিমানা করার প্রশ্নে সব ক’টি স্টেশনেই কড়াকড়ি বেড়েছে। জরিমানা খাতে মেট্রোর আয় গত কয়েক মাসে বাড়লেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা বাধার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে খবর। ওই অবস্থা এড়াতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বার্তা বলে সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কাউন্টারে যথাযথ মূল্যের টোকেন দেওয়া যেমন মেট্রোকর্মীর কর্তব্য, তেমনই তা দেখে নেওয়াও যাত্রীদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’’

যাত্রীদের একাংশের আবার অভিযোগ, টিকিট কাউন্টারে বসানো মনিটরের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। যাতে প্রয়োজনীয় লেখার অংশটা সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।

সদ্য শেষ হওয়া অর্থবর্ষে মেট্রো কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপন থেকে ২১ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন। ওই কর্তার দাবি, রেল বোর্ডের নির্দেশে আয় বাড়াতে যেখানে সব রকম চেষ্টা করতে হচ্ছে, সেখানে বিজ্ঞাপনকেই বা উপেক্ষা করা যায় কী করে ? পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই সব পক্ষের সজাগ থাকা ছাড়া পথ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Social Media KMRCL Kolkata Metro Token
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE