ঘেরাটোপ: করুণাময়ী সেতুতে লোহার পাত বসানো অংশ ঘিরে রেখেই চলছে যান নিয়ন্ত্রণ। রবিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
মাঝেরহাট সেতুতে ট্রাম লাইনের উপরে পিচ ঢেলে সেতুর বোঝা বাড়ানো হয়েছিল। করুণাময়ী সেতুতেও একই ভাবে এক্সপ্যানশন জয়েন্টের উপরে পিচ আর ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে! তার ফলেই নিময়মাফিক যে ফাঁক থাকা দরকার সেটি বুজে গিয়েছে। ফলে সেই জায়গায় তৈরি হয়েছে একটি ফাটল। এমনই দাবি সেতু পরিদর্শনে যাওয়া ইঞ্জিনিয়ারদের।
তার উপর দিয়ে গাড়ি যেতে যেতে শনিবার তারই একটি অংশ বসে যায়। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) ইঞ্জিনিয়ারেরা এ কথা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সেতুর পরিকাঠামোগত কোনও ত্রুটি নেই। এক্সপ্যানশন জয়েন্ট বুজিয়ে দেওয়াতেই সেতুতে চাপ পড়ে ফাটল হয়েছে।
রবিবার দুপুরে কেএমডিএ-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার, অন্য ইঞ্জিনিয়ার, রাজ্যের সেতুর জন্য গঠিত কমিটির পরামর্শদাতা সমীরণ সেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সেতু পরীক্ষা করেন। পরে তাঁরা জানান, সেতুতে কোনও সারাই না হলেও গত কয়েক বছরে কেউ বা কারা না জেনে সেতুর উপরের ওই ফাঁকে পিচ আর ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট ছড়িয়েছে। অজ্ঞতার কারণেই ওই জায়গাটি বসে গিয়েছে। কেএমডিএ-র দাবি, তারা এ কাজ করেনি। কার নির্বুদ্ধিতায় এ কাজ হয়েছে সেই বিষয়টি এখনও অজানা।
তা ছাড়া টালিনালার উপরে পিলারের ফাটলটি মূল স্তম্ভে হয়নি বলেই পরিদর্শক দলের দাবি। দলের সদস্যেরা জানিয়েছেন, সেতুর নীচে মাদকাসক্তদের যাওয়া বন্ধ করতে পিলারের পাশেই একটি দেওয়াল তৈরি করা হয়েছিল। তাতেই ফাটল হয়েছে। তার সঙ্গে সেতুর মূল অংশের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এক্সপ্যানশন জয়েন্টের যে জায়গাটি শনিবার বসে গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধরা পড়েছে সেখানে কাজ শুরু হবে এক-দু’দিনেই।
স্থানীয় ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের সঙ্গে কথা বলে ফের রবিবার জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্ট ডিসেম্বরে জমা করার পরে ঠিক হবে পরিকাঠামোগত মেরামতির আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কি না।
শনিবার দুপুরে টালিনালার উপরে করুণাময়ী সেতুর মাঝে একটি অংশ বসে যায় বলে ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ড থেকেই কেএমডিএ-র কাছে খবর যায়। পরে সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই জায়গায় একটি লোহার চৌকো পাত বসিয়ে দেন। ট্র্যাফিককে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই অংশের উপর দিয়ে যাতে কোনও ভারী গাড়ি না যায়। রবিবারও কেএমডিএ-র তরফে বলা হয়েছে সেতুর ওই অংশ সারাইয়ের আগে পর্যন্ত একই নিয়ম মেনে যাতে গাড়ি চালানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy