একরত্তি ঐত্রী দে-র মৃত্যু মামলায় চূড়ান্ত রায়ের জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে তার পরিবার এবং আমরি কর্তৃপক্ষকে।
গত ১৭ জানুয়ারি মুকুন্দপুর আমরিতে মৃত্যু হয় গড়িয়ার কামালগাজির বাসিন্দা ঐত্রীর। মেয়ের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করে পরিবার। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা। গত কয়েক মাস ধরে কমিশনে শুনানি চলছিল। মঙ্গলবার শুনানি-পর্ব শেষ হয়েছে বলে ঐত্রীর পরিবারকে জানায় কমিশন। তাতেই ‘আপত্তি’ করে মেয়েটির পরিবার।
আড়াই বছরের মৃত শিশুর বাবা জয়ন্ত দে-র বক্তব্য, ‘‘শেষ কয়েকটি শুনানির লিখিত বয়ান আমাদের দেওয়া হয়নি। তা না দিয়ে কী ভাবে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হতে পারে?’’ তাঁদের এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কমিশন শুনানি-পর্বের লিখিত বয়ান দিতে সম্মত হয়েছে বলে দাবি ঐত্রীর মা শম্পার। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক দিনের মধ্যে কমিশন লিখিত বয়ানগুলি দেবে। সেগুলি পেয়ে আমরা বক্তব্য জানাব। তার পরে রায় হবে।’’
এই বয়ানগুলির মধ্যে নার্স, মুকুন্দপুর আমরি-র ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য রয়েছে। ঘটনার দিন জয়ন্তীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও শুনানিতে তা অস্বীকার করে জয়ন্তীর দাবি ছিল, তাঁরই হাত মুচড়ে দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে একটি সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ফু়টেজ উভয় পক্ষের সামনে খতিয়ে দেখার কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ জয়ন্তের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy