ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর তদন্ত রিপোর্টে ছাড় দেওয়া হল জলের গাড়ির চালক সনৎ চৌধুরীকে।
গত ৩১ অক্টোবর গভীর রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিদেশি সংস্থার বিমানে জল ভরতে গিয়েছিল এই গাড়িটি। অভিযোগ, গাড়িটি সেই সময়ে বিমানের পেটে গিয়ে ধাক্কা মারে। মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা জানতে সেই রাতেই চালকের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু মদের গন্ধ পাওয়া যায়নি। পরের দিন সকালে ওই চালককে সাসপেন্ড করা হয়। তদন্তে নামে ডিজিসিএ।
সম্প্রতি সেই তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়েছে দিল্লিতে। ডিজিসিএ সূত্রের খবর, সেই রাতে জলের গাড়িটি বিমানের কাছে পৌঁছে, সুবিধা মতো জায়গায় দাঁড়ানোর জন্য ‘ব্যাক’ করছিল। সেই সময়ে গাড়ির সঙ্গে বিমানের পেটের অংশ ঘষে যায়। ক্ষতি হয় বিমানটির। যার জেরে সেই রাতে বাতিল করতে হয় কলকাতা-দোহা উড়ান। সমস্যায় পড়তে হয় ওই বিমানে চেপে কাতার ফেরার যাত্রীদেরও। তাঁদের আটকে পড়তে হয় কলকাতায়। সামান্য সারাই করেও বিমান সংস্থা বিমানটিকে উড়িয়ে কাতারে ফেরত নিয়ে যেতে পারেনি। সেটি সারাই করতে ইঞ্জিনিয়ারেরা দোহা থেকে উড়ে আসেন।
ডিজিসিএ কর্তাদের মতে, অত রাতে মানুষ কম সজাগ থাকেন। সে দিন গাড়ির গতি কম ছিল। গাড়ি পিছোতে গিয়ে তিনি না বুঝেই বিমানের ধাক্কা দেন। ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ছিল না। সেই কারণে, সব দিক খতিয়ে দেখে চালককে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরে বিদেশি বিমানসংস্থাকে বিমান পরিষ্কার, শৌচালয়ে জল ভরার মতো পরিষেবা দেয় এয়ার ইন্ডিয়া এয়ার ট্র্যাফিক সার্ভিসেস লিমিটেড (এআইএটিএসএল)। সনৎবাবু সেই জলের গাড়ি চালাতেন। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিমানটি সারিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দোহায়।
ওই বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে এআইএটিএসএল-এর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হবে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy