টালিগঞ্জে মেট্রো রেলের লাইনে কাজের জন্য আগামিকাল, সোমবার থেকে কমছে ট্রেনের সংখ্যা। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে ট্রেনের সংখ্যা ৩০০ থেকে কমিয়ে ২৮৪ করা হচ্ছে। তবে সকাল এবং সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ট্রেন কমছে না। দুপুরের দিকে বেলা ১২টা’র পর ট্রেনের ব্যবধান সামান্য বাড়তে পারে।
রাতের শেষ ট্রেনের সময়ও সামান্য বদলাচ্ছে। কবি সুভাষ ও দমদমের মধ্যে শেষ ট্রেন রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের পরিবর্তে ৯টা ৫৪ মিনিটে ছাড়বে। কবি সুভাষ থেকে নোয়াপাড়া যাওয়ার শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে।
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, দমদমগামী ট্রেনের যাত্রার সময় কমানোর পাশাপাশি ট্রেনের চলাচল মসৃণ করতে শনিবার থেকে টালিগঞ্জ ইয়ার্ড পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই কাজ চলবে। তার পর পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হবে। লাইন সারাইয়ের জন্য টালিগঞ্জে ট্রেনের গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় যাত্রাপথে সময়ও বেশি লাগবে। তবে শনি ও রবিবারে ট্রেনের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকছে।
মেট্রোর দাবি, বর্তমানে দমদমগামী ট্রেনকে কুঁদঘাট থেকে টালিগঞ্জ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনোর আগে গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার থেকে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটারে নামিয়ে আনতে হয়। কারণ, স্টেশনের আগে একটি তীক্ষ্ণ বাঁক এবং কাঁচির মতো ‘ক্রসিং’ রয়েছে। মেট্রো রেলের মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই কাজ শেষ হলে প্রতি ট্রেনে অন্তত ১ মিনিট করে সময় বাঁচবে। ভবিষ্যতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগও থাকছে।”
মেট্রো সূত্রের খবর, ওই ক্রসিংটি কুঁদঘাটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। টালিগঞ্জ প্ল্যাটফর্ম থেকে কুঁদঘাটের দিকে বেরিয়ে আসা লাইনের পরিসরও কিছুটা লম্বা হবে। তাতে ‘স্টেবলিং লাইনে’ একটি ট্রেনকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য মজুত রাখা যাবে। এ জন্য ‘ডিরেলিং-সুইচও’ বসানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy