আহত বিপ্লব দত্ত। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
মায়ের উপর চড়াও হয়েছিল দাদা। প্রতিবাদ করেছিলেন ভাই। সেই অপরাধে ভাইয়ের মুখে কাঁচি দিয়ে একাধিক বার আঘাত করার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নিউ আলিপুর থানার চেতলা রোডে। অভিযুক্ত বিপুল দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত যুবকের মুখে ২১টি সেলাই পড়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিউ আলিপুর থানার ৮৫, চেতলা রোডে একটি বস্তির একতলার ঘরে মাকে নিয়ে থাকেন পেশায় ফুল বিক্রেতা বিপ্লব দত্ত। দোতলায় স্ত্রীকে নিয়ে বিপুলের সংসার। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাত ১টা নাগাদ মত্ত অবস্থায় বাড়ি আসে বিপুল। বাড়ি ঢুকে অশালীন আচরণ শুরু করলে তার মা প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, সে তখন মাকে অপমান করে। তাঁর গায়েও হাত তোলে। এর পরেই রুখে দাঁড়ান ভাই বিপ্লব। তা থেকেই দু’জনের হাতাহাতির শুরু।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, হাতাহাতি চলাকালীন আচমকা বিপ্লব ঘর থেকে কাঁচি বার করে এনে ভাইয়ের মুখে বারবার আঘাত করতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন, ঘরের মেঝে ভেসে যাচ্ছে রক্তে। এলাকাবাসীরাই বিপ্লবকে উদ্ধার করে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের মুখে ২১টি সেলাই করতে হয়েছে।
রবিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বিপ্লব।
এ দিন দুপুরে চেতলা রোডে বিপ্লবদের বাড়িতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিপুলের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। বিপ্লবের দিদি ঝুমা ঘোষ বলেন, ‘‘মাসখানেক আগে আমি শ্বশুরবা়ড়ি থেকে বাপের বাড়ি এসেছিলাম। তখনও এক বার দাদা আমাকে মত্ত অবস্থায় মারধর করেছিল। নিজের দাদা বলে এত দিন মুখ বুজে ছিলাম। কিছু বলিনি। কিন্তু শনিবার রাতে ভাইয়ের উপরে দাদা যে ভাবে আক্রমণ করল, তাতে দাদার কঠোর শাস্তি হোক এটাই চাই। আর বিপ্লবের কথায়, ‘‘প্রতিবেশীরা ছুটে না এলে দাদা আমাকে মেরেই ফেলত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy