Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাব ছিনতাই নিয়ে রহস্য

ঝোপ থেকে রক্তমাখা একটি গাড়ি উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সকালে, ভাঙড়ের কাশীপুর থানার কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালের ধার থেকে। ওই গাড়ির চালক বাবলু সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০০:২৭
Share: Save:

ঝোপ থেকে রক্তমাখা একটি গাড়ি উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সকালে, ভাঙড়ের কাশীপুর থানার কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালের ধার থেকে। ওই গাড়ির চালক বাবলু সিংহের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাবলু তাঁর গাড়িটি বেসরকারি সংস্থার অ্যাপ-ক্যাবে ভাড়া খাটাতেন। শুক্রবার রাতে শোভাবাজার থেকে নিউ টাউনে যাওয়ার জন্য এক যুবক সেটি ভাড়া নেন। বাবলু পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই যাত্রীকে নামিয়ে সোনাগাছি এলাকায় তাঁর বাড়িতে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে একটি মোটরবাইকে চেপে তিন যুবক আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁর গাড়িটিকে দাঁড় করায়। গাড়ি থামাতেই ওই যুবকেরা কাপড়ে বাঁধা ইট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। যুবকেরা তাঁকে মারধর শুরু করলে তিনি পালিয়ে যান। আহত বাবলু সোজা নিউ টাউন থানায় গিয়ে গোটা ঘটনা খুলে বলেন।

এ দিকে, শনিবার ভোরে কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খাল ধারের ঝোপ থেকে মোবাইলের আওয়াজ শুনতে পান পথচারীরা। কৌতূহলবশত তাঁরা এগিয়ে দেখেন, পরিত্যক্ত গাড়ির ভিতরে রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে মদের বোতল, গুটকা, চিপ্‌সের প্যাকেট এবং কাপড়ে মোড়া ইট। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কাশীপুর থানার পুলিশ গিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অন্য দিকে, বাবলুর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে নিউ টাউন থানার পুলিশ। কাশীপুর থানাও একটি গাড়ি উদ্ধারের খবর অন্য থানাগুলিকে জানাতে থাকে। খবর আসে নিউ টাউন থানার পুলিশের কাছেও। খবর পেয়ে বাবলুর পরিজনেরাও যোগাযোগ করেন কাশীপুর থানার সঙ্গে। বাবলুর ভাই সুরজ সিংহ বলেন, ‘‘ভোরে দাদার বিপদের কথা জানতে পারি। সেই মতো স্ট্যান্ডে গিয়ে সবাইকে ঘটনার কথা জানাই। সবাই মিলে দাদা এবং গাড়িটির খোঁজ করতে শুরু করি। ওরা দাদাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।’’

ছিনতাই হয়ে যাওয়া গাড়িটি ওই এলাকায় ফেলে রেখে দুষ্কৃতীরা পালাল কেন? পুলিশ জানিয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগ হওয়ায় সম্ভবত তারা গাড়ি ফেলে পালায়। কিন্তু গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য কী ছিল? তবে কি এই গাড়ির সাহায্যে অন্য কোনও অপরাধমূলক কাজ করেছিল বা করার ফন্দি ছিল দুষ্কৃতীদের? তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে সেই প্রশ্নও। উত্তর খুঁজতে কাশীপুর ও নিউ টাউন থানার পুলিশ যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE