প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ মেনে এ বার নিজেদের বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করতে চলেছেন কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য ‘স্বাগত সেবা’ নামের একটি পরিষেবা চালু করতে এসে এই কথা জানান এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আর কে শ্রীবাস্তব। পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরের উন্নয়নে অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করা এবং নতুন এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বৈঠকে কলকাতা বিমানবন্দরের অসমাপ্ত প্রকল্পগুলি এবং উন্নয়নের আগামী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পরে চেয়ারম্যান জানান, বিমানবন্দরের ৫৫ একর জায়গায় সৌর প্যানেল সানো হবে। জমির খোঁজ চলছে। এর জন্য ১৩০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। যার জন্য রাজ্যের একটি বিদ্যুত সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও চালাচ্ছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিকল্পনা মেনে এই কাজ করা হবে। কলকাতা বিমানবন্দরের জন্য ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। এই প্রকল্পে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উত্পাদন করা হবে।
বিকল্প বিদ্যুতের পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরের পুরনো ও নতুন টার্মিনালের এরোব্রিজগুলির মধ্যেও সংযোগ স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি জানান, বিমানবন্দরে নতুন টাওয়ার বসানোর জন্য বিকল্প জায়গায় খোঁজ করা হচ্ছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরের বর্তমান টাওয়ারটির আধুনীকিকরণের কাজ হয়েছে। পাশাপাশই নতুন টাওয়ারের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু যে জায়গায় প্রথমে সেটি বসানোর চিন্তাভাবনা হয়েছিল, তাতে কারিগরি কিছু সমস্যা হতে পারে বলে চিহ্নিত করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। ফলে নতুন জায়গার খোঁজ চলছে।
এ দিন দুপুরে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘স্বাগত সেবা’ নামের একটি পরিষেবা চালু করলেন চেয়ারম্যান। নতুন সেই পরিষেবাতে ৪৫ জন কর্মী বিমান ধরতে আসা অথবা বিমান থেকে নামার সময়ে যাত্রীদের সহায়তা করবেন। দিল্লি, মুম্বই, জয়পুর বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা চালু রয়েছে। এ বার কলকাতাতেও চালু হল সেই পরিষেবা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্তাদের মতে, যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়াতে এই ধরনের পরিষেবার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিষেবা প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর প্রদীপ যাদব জানান, বিমানবন্দরে আসার পরে যাত্রীদের লাগেজ সহ ট্রলির ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে বোর্ডিং পর্যন্ত সব ব্যবস্থায় তাঁরা সহযোগিতা করবেন। উল্টো দিকে বিমান থেকে নামার পর থেকে বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর ব্যবস্থাও করা হবে। এর জন্য পরিষেবাপ্রদানকারী কর্মী পিছু ৩০০ টাকা দিতে হবে যাত্রীদের। এ ছাড়াও ওই সংস্থার তরফে রেল, বিমানের টিকিট বুকিং করা, হোটেলের ব্যবস্থা করা, ট্যাক্সির ব্যবস্থার মতো কাজও করবে। তার জন্য বিমানবন্দরের বাইরে ও ভিতরে তাঁদের কাউন্টারও বসানো হচ্ছে। এ দিন এই পরিষেবা অবশ্য বিনামূল্যেই দিয়েছেন সেই সংস্থা। চেন্নাই থেক আসা কমল বেইল প্রথম এই পরিষেবা নিলেন। তাঁর মতে, এই ধরনের ব্যবস্থায় খুবই উপকৃত হবেন যাত্রীরা। বিশেষত যারা প্রথম বার বিমানে ওঠেন, যারা প্রবীণ নাগরিক, তাঁদের খুবই সুবিধা হবে। তবে তার জন্য বিনিময়ে খরচ বড্ড বেশি বলেই দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy