লড়াই: আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকলকর্মীরা। রবিবার রাতে, বড়বাজারে। ছবি: শৌভিক দে
এক মাস পেরোতে না-পেরোতেই ফের আগুন লাগল বড়বাজারের আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে। এ বার কাপড়ের গুদামে। পুলিশ ও দমকল সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ বড়বাজারের আর্মেনিয়ান স্ট্রিটের একটি কাপড়ের গুদামে আগুন লাগে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গিয়েছিল বাগড়ি মার্কেটের একাংশ। তার পরে গত ৪ জানুয়ারি রাতে আর্মেনিয়ান স্ট্রিটের একটি প্যাকিং বাক্সের গুদামে আগুন লেগেছিল। সেই ঘটনাতেও কেউ হতাহত হননি।
এ দিনের অগ্নিদগ্ধ বাড়িটি চারতলা উঁচু। তার দোতলার দু’টি ঘরে আগুন লেগেছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্থানীয় কয়েক জন প্রথমে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। খবর পেয়ে বড়বাজার থানা এবং পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। হাজির হয় দমকলও। তবে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে দমকলকে।
বড়বাজারের বাণিজ্যিক বহুতলগুলিতে বারবারই অগ্নিসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০০৮ সালে নন্দরাম মার্কেট পুড়ে যাওয়ার পরে যেমন সেই প্রশ্ন উঠেছিল, তেমনই বাগড়ি মার্কেট পুড়ে যাওয়ার পরেও উঠেছে। কিন্তু সেই সুরক্ষাবিধি কতটা জোরালো ভাবে আরোপ করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকেরই। এই আর্মেনিয়ান স্ট্রিটেও আগেও একাধিক বার আগুন লেগেছে।
এ দিন ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনিও ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে দমকলের অসুবিধার কথা মেনে নিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘সরু অলি-গলি দিয়ে দমকলকর্মীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। সেখানে পৌঁছেও তাঁরা ১০ মিনিটের মধ্যে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছেন। কিন্তু এত সরু পরিসরে আগুন লাগলে বার বার সমস্যায় পড়তে হবে দমকলকে।’’ পরে বড়বাজারের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ব্যবসা করুন। কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে বিদ্যুতের তার এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা উন্নত করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy