ফাইল চিত্র।
বন্দে ভারত প্রকল্পের ষষ্ঠ দফার যে উড়ানসূচি কেন্দ্র ঘোষণা করেছে সেখানে কলকাতায় আসার একটি উড়ানও নেই। সূচি অনুযায়ী আজ, বুধবার একটি উড়ান দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে এখানে আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে উড়ে যাবে চিনের সাংহাইয়ে। আবার ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে আরও একটি উড়ান এসে কলকাতায় আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে চিন উড়ে যাবে।
বিদেশে আটকে পড়া এ রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরার এখন একমাত্র উপায় ভাড়া করা উড়ান। তার প্রচুর খরচ। ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশনের পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবি বলেন, “আমেরিকা ও ইউরোপের শহরে বহু বাঙালি আটকে আছেন। তাঁদের পক্ষে প্রচুর টাকা দিয়ে বিমান ভাড়া করে আসা সম্ভব নয়।” সম্প্রতি একটি উড়ানসংস্থা কলকাতা থেকে লন্ডন ফিরতি উড়ান চালানোর জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা চেয়েছে। একমাত্র বন্দে ভারতের উড়ানেই ৫০ হাজার টাকায় ওঠা যায়।
নবান্নের একটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দে ভারত উড়ান সরাসরি কলকাতায় আসতে না দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকার অনড়। কারণ ওই উড়ানে এর আগে দু`টি ক্ষেত্রে কলকাতায় এসে কোয়রান্টিনের নিয়ম না মেনে সরাসরি বাড়ি চলে গিয়েছিলেন যাত্রীরা। তার পর থেকে বন্দে ভারত উড়ান বন্ধ করে দেয় রাজ্য। এখন সেই নিয়ম বাধ্যতামূলক না হলেও বন্দে ভারতের জন্য রাজ্যের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যায়নি।
অনিল পঞ্জাবির মতে, অনেকে দিল্লি পর্যন্ত এসে সেখান থেকে অভ্যন্তরীণ উড়ান ধরে কলকাতায় আসার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গত দু`মাস দিল্লি থেকেও কলকাতার সরাসরি উড়ান বন্ধ। এ বার অবশ্য রাজ্য সরকার সপ্তাহে তিন দিন দিল্লি থেকে কলকাতার সরাসরি উড়ান চালু করায় সম্মতি জানিয়েছে।
ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান মানব সোনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যদি বুদবুদ উড়ান আসার ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দেয় তা হলেও বহু বিদেশি উড়ান সংস্থা আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে আসতে পারে কলকাতায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy