Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Medical College student

মেডিক্যাল কলেজে ঘেরাও প্রিন্সিপাল, ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

নবনির্মিত হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের সঙ্গে থাকতে চেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ডাক্তারির সিনিয়র পড়ুয়ারা।

চলছে ছাত্রদের ঘেরাও। ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

চলছে ছাত্রদের ঘেরাও। ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ২৩:৩৮
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর উত্তেজনা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। কলেজের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ৫০-৬০ জন পড়ুয়া হস্টেলের দাবিতে ঘেরাও করে রাখেন প্রিন্সিপালকে। নবনির্মিত হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের সঙ্গে থাকতে চেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ডাক্তারির সিনিয়র পড়ুয়ারা। শুরু হয় ঘেরাও। প্রিন্সিপালের লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। প্রিন্সিপালকে নিরাপদে বের করে আনা হয় ছাত্র বিক্ষোভের মাঝেই।

ডাক্তারির পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রিন্সিপালকে উদ্ধারের নামে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে সিনিয়র ছাত্রছাত্রীদের উপরে। তাঁদের দাবি, হস্টেলের অভাবে প্রায় ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিজেদের মালপত্র, জিনিস নিয়ে তাঁরা বসে রয়েছেন কমন রুমে। বেশিরভাগই কলকাতার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে ডাক্তারি পড়তে এসেছেন। তাঁদের থাকার কোনও জায়গা নেই।

এক ছাত্র বলেন, ১১ তলার নতুন ‘বয়েজ হস্টেল’ শুধুমাত্র প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্যই, আচমকাই এমন একটা নোটিস জারি করা হয়। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রদের সেখানে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রথম বর্ষের ছাত্রদের থেকে সিনিয়রদের আলাদা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ এক সিনিয়র ছাত্রের। তাঁদের দাবি, শাসক দল তৃণমূল আশ্রিত একজন চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মণ্ডল (এমবিবিএস) নতুন হস্টেলের সুপার। তাঁর বদলে কোনও অ্যাসিস্ট্যাট বা অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসরকে হস্টেলের সুপার হিসাবে নিয়োগ করতে হবে। হাসপাতালের সিসিইউ-র ডেপুটি ইনচার্জ হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করা বেআইনি বলেও উল্লেখ করেন অবস্থানরত পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন: ভর্তি হবেন? নেতারা চলে যাচ্ছেন বাড়িতে

প্রবেশিকা নয় কেন যাদবপুরে, প্রতিবাদে রাত পর্যন্ত ঘেরাও উপাচার্য​

মেন বয়েজ হস্টেলের পাঁচতলার সিলিং ভেঙে পড়ছে, তার দিকে কর্তৃপক্ষের কোনও খেয়াল নেই বলেও গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন বিক্ষোভরত ডাক্তারি পড়ুয়ারা। হস্টেল দেওয়ার জন্য কাউন্সেলিং পদ্ধতি স্বচ্ছতার সঙ্গে এমনটাও উল্লেখ করেন তাঁরা।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিরাট পুলিশবাহিনী। উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE