প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি বা মশাবাহিত রোগ নিবারণের কাজে প্রয়োজনে তালা ভেঙেও ঘরে ঢুকতে পারে পুরসভা। এমন এক্তিয়ারের কথা বলা রয়েছে পুর আইনেই। তবে এত দিন তা প্রয়োগ না করলেও এ বার সেটি লাগু করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুর প্রশাসন।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসকদের মতে, শহরে এমন অনেক তালাবন্ধ বাড়ি বা ঘর আছে যেখানে মশা নিশ্চিন্তে বংশবিস্তার করছে। সব জেনেও পুরসভা কিছু করতে পারেনি। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বুধবার জানান, এখন থেকে তালাবন্ধ ঘরেও ঢুকবে পুরসভার মশা দমনকারী দল। সেই মর্মে প্রতি বরোর এগজিকিউটিভ হেল্থ অফিসারদের নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে। কাউন্সিলরদের কাছেও চিঠি পাঠিয়ে বলা হচ্ছে এলাকায় কোথায় তালাবন্ধ বাড়ি বা ফ্ল্যাটে জল-জঞ্জাল জমছে, তা চিহ্নিত করে মালিকের নাম ও ঠিকানা নথিভুক্ত করতে।
পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপনকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, স্বাস্থ্যকর্মীরা তালাবন্ধ বাড়িগুলিতে গিয়ে দেখেছেন, সেখানে জলের সঙ্গে জঞ্জালও জমে রয়েছে। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে না পারায় ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের। অথচ পুর আইনে বলা আছে, জনস্বাস্থ্যের কাজে প্রয়োজনে ঘরের তালা ভেঙেও ঢুকতে পারে পুরসভার দল। ওই ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে পুর কমিশনারের হাতে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ বছর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত বারের চেয়ে কম হলেও রাজ্য জুড়ে কয়েক জনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে। তার উপরে শহর জুড়ে জঞ্জাল এবং জল জমার প্রবণতা বেশি থাকায় মশার উপদ্রবও বেড়েছিল। ঠান্ডা পড়ায় মশার উৎপাত কমলেও তা যাতে মাথাচাড়া না দিতে পারে, সে জন্য আগেই সতর্ক হতে চায় পুর প্রশাসন। এ দিন থেকেই কাউন্সিলরদের কাছে ওই চিঠি পাঠানো শুরু করেছে তারা।
মেয়র পারিষদ জানান, প্রথমে বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকের ঠিকানা জোগাড় করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই চিঠির কোনও জবাব না এলে পুরসভার আইন বলে ওই বাড়ির তালা খুলে মশা দমনের কাজ করা হবে। সাক্ষী রাখা হবে স্থানীয় দুই বাসিন্দাকে। থাকবেন পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের কর্মীরা এবং সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। যদিও পুর প্রশাসনের একটি অংশের আশঙ্কা, তাতে কেউ মামলা করতে পারেন। কিন্তু নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে পিছু হটতে নারাজ পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy