Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

এখনও চালু হয়নি অ্যানিম্যাল হাউস

ব্যবচ্ছেদ করার জন্য আনা পশুদের পরীক্ষাগারে রাখা যায় না| তাদের রাখার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সুস্থ স্বাভাবিক রেখে তবেই কাটাছেঁড়া করা যায়।

অব্যবহৃত: এই সেই অ্যানিম্যাল হাউস। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

অব্যবহৃত: এই সেই অ্যানিম্যাল হাউস। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০২:১৮
Share: Save:

তৈরির পরে দু’বছর পেরিয়েছে। তবু প্রশাসনিক জটিলতায় বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ ক্যাম্পাসে লক্ষাধিক টাকায় তৈরি ‘অ্যানিম্যাল হাউস’টির ব্যবহার শুরু হল না।

ব্যবচ্ছেদ করার জন্য আনা পশুদের পরীক্ষাগারে রাখা যায় না| তাদের রাখার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সুস্থ স্বাভাবিক রেখে তবেই কাটাছেঁড়া করা যায়। শীতাতপ যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ওষুধ ও খাবারের যাবতীয় ব্যবস্থা থাকার কথা। সে জন্যই গবেষণায় ব্যবহৃত প্রাণীদের পৃথক ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। ক্যাম্পাসেই প্রাণিবিদ্যা বিভাগের পশুদের রাখার জন্য নিজস্ব একতলা বাড়ি রয়েছে। কিন্তু বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনোলজি বিভাগের কোনও অ্যানিম্যাল হাউস ছিল না। সে কথা ভেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ ক্যাম্পাসে বছর পাঁচেক আগে তৈরি হয়েছিল এটি। কিন্তু আজও তা ব্যবহারযোগ্য হয়নি।।

১২টি ঘর নিয়ে অ্যানিম্যাল হাউসের দোতলা অত্যাধুনিক ভবন তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৫০ লক্ষেরও বেশি টাকা। বেশির ভাগই দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বাকি টাকা দেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এমন পরিকাঠামো সত্ত্বেও কেন তা ব্যবহার হচ্ছে না?

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা পুরো ঘটনার জন্য প্রশাসনিক জটিলতাকে দায়ী করেছেন। তাঁর মতে, ২০১৬ সালে ভবনটি তৈরি হলেও কিছু কাজ বাকি রয়ে গিয়েছিল। সে জন্য পিডব্লিউডি-র কাছে আবেদন করার কথা। কিন্তু ২০১৬-র পরে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদে অস্থায়ী নিয়োগ থাকায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। যে সব জিনিসের চাহিদা ছিল, সেগুলির তালিকা তৈরি করে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে পাঠানোও হয়েছিল। অনুমোদন পেতেই বছর ঘুরে যায়। কোনও কাজও এগোয়নি। তবে বর্তমানে সেই প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে কি গবেষণা বন্ধ? এক শিক্ষক বলেন, ‘‘বন্ধ নেই। পরীক্ষাগারে প্রাণীদের রেখে সেখানেই গবেষণার কাজ হচ্ছে| পুরো কাজটাই নিয়মবিরুদ্ধ। ইউজিসি-র নজরে এলে জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।’’ যত দিন না নতুন ভবন চালু হচ্ছে, তত দিন প্রাণিবিদ্যার অ্যানিম্যাল হাউস ব্যবহার করতে দেওয়া হোক।—ইতিমধ্যেই বায়োকেমিস্ট্রির এক শিক্ষক কর্তৃপক্ষের কাছে এই মর্মে আবেদন করেছেন|

উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। দ্রুত ভবনটিতে কাজ শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Animal House Ballygunge Science College
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE