—ফাইল চিত্র।
মুরগির খামারে পুলিশ হানা দেওয়ার পরেই নিরুদ্দেশ সেখানকার কর্তারা। শনিবার তাদের আরও দু’টি খামারের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। যদিও দু’টি খামারই ছিল বন্ধ।
শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেটের কাছে একটি রেস্তরাঁয় মাংস সরবরাহ করতে এসেছিল দুই ব্যক্তি। তাদের মাংসের ব্যাগ থেকে কটু গন্ধ পান এলাকার বাসিন্দারা। খবর যায় পুলিশে। বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, রেস্তরাঁয় পচা মাংস সরবরাহ করা হচ্ছে।
পুলিশ এসে ওই রেস্তরাঁর এক কর্মচারী এবং সরবরাহকারী দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে জানা যায়, নিউ টাউনের একটি মুরগি খামার থেকে ওই মাংস সরবরাহ করা হচ্ছিল। দুপুরেই পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। মরা মুরগির পাশাপাশি ওই খামারের কয়েকটি ফ্রিজারের মধ্যে পচা-গলা মাংসও পাওয়া যায়। ছ’জনকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিধাননগর পুলিশ জানায়, যে মাংস নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। ওই সব মাংস সংরক্ষণের জন্য কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল কি না এবং সেই মাংস আদৌ খাবারের যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
ঘটনার পর থেকে ওই মুরগি খামারের দুই কর্তার খোঁজ মিলছে না। পুলিশ সূত্রের খবর, খামারের এক কর্তা কৌসর আলি ঢালি লেকটাউন এলাকায় থাকে। সে আদতে বসিরহাটের বাসিন্দা। লেকটাউন থানা এলাকার দক্ষিণদাঁড়িতে তার আরও দোকান ও খামার রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খামারগুলি থেকে দমদম, নিউ টাউন, সল্টলেক, এমনকী কলকাতার বিভিন্ন রেস্তরাঁ, দোকান ও বিয়েবাড়িতে মাংস সরবরাহ করা হত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তবে সেই সব তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy