প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে দামিয়াঁ সিয়েদ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ফ্রান্সে পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের আহ্বান জানালেন কলকাতায় ফরাসি কনসাল জেনারেল দামিয়াঁ সিয়েদ। সোমবার তিনি জানান, এখন বছরে প্রায় পাঁচ হাজার পড়ুয়া উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত থেকে ফ্রান্সে যান। ২০২০ সালের মধ্যে যাতে সেই সংখ্যা ১০ হাজার হয়, সেটাই এখন লক্ষ্য ফরাসি সরকারের। দামিয়াঁ বলেন, ‘‘আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো ভারতীয় পড়ুয়ারা যাতে ফ্রান্সকেও উচ্চশিক্ষার গন্তব্য বলে ভাবেন, তার চেষ্টা চলছে।’’
এ দিন প্রেসিডেন্সির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ‘ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে হৃদয়ের বন্ধন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসেছিলেন দামিয়াঁ। তিনি জানান, ভারতীয় পড়ুয়ারা যাতে ফ্রান্সে গিয়ে সহজে পড়াশোনা করতে পারেন, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, সেখানে এখন বেশির ভাগ কোর্সই পড়ানো হয় ইংরেজিতে। ফলে ফরাসি না জানলেও সমস্যা হবে না। ভারতীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ফ্রান্সে এবং ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ভারতে যাতে গ্রাহ্য হয়, সে বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। ভারতীয় পড়ুয়ারা সেখানে যাতে আর্থিক অসুবিধার মধ্যে না পড়েন, তাই বৃত্তির পরিমাণও অনেক বাড়ানো হয়েছে। ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার মুখে যাতে পড়ুয়াদের না পড়তে হয়, তার জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
দামিয়াঁ জানালেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বছরে প্রায় ৩০০ পড়ুয়া ফ্রান্সে যান। এই সংখ্যা বাড়ানোর দিকেও তাঁরা তৎপর। কলকাতার ফরাসি দূতাবাস থেকেও ৪৮ ঘণ্টায় ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে ফ্রান্সে পড়তে গেলে পড়ুয়ারা পড়াশোনার শেষে এক বছর থাকতে পারতেন। তা বাড়িয়ে এখন দু’বছর করা হয়েছে। এখন পড়া শেষ করে দেশে ফিরে এসে আবার ফ্রান্সে ফিরতে চাইলে পাঁচ বছর পর্যন্ত বসবাসের ছাড়পত্র সেই পড়ুয়াকে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি থেকে পড়ুয়া বিনিময় প্রোগ্রামে ফ্রান্স যাচ্ছেন কয়েক জন পড়ুয়া। দামিয়াঁ জানান, পড়ুয়াদের পাশপাশি আরও ভারতীয় পর্যটককেও ফ্রান্সে নিয়ে যেতে সচেষ্ট ফরাসি সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy