Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ওদের বিশেষ সুযোগ লেখা থাকবে বোর্ডে

স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) উত্তম চট্টোপাধ্যায়। ওই ঘটনার পরেই স্কুলে সাইনবোর্ড বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০১:৫৫
Share: Save:

জল খাওয়ার জন্য বারবার ইঙ্গিত করায় সম্প্রতি প্রাক-প্রাথমিক স্তরের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল স্কুলের দুজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। জোকার ওই স্কুলের ঘটনা সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েন বিকাশ ভবনের কর্তারা। এ বার তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা স্কুল শিক্ষা (প্রাথমিক) দফতর কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের প্রাপ্য সুবিধা দিতে স্কুলকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানান জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের এক কর্তা।

স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সম্প্রতি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) উত্তম চট্টোপাধ্যায়। ওই ঘটনার পরেই স্কুলে সাইনবোর্ড বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে লেখা থাকবে, এক জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়া কী কী সুযোগসুবিধা পেতে পারে। সে সব যথাযথ ভাবে পালন করা হচ্ছে কি না তার উপরে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, প্রথমে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর তালিকা তৈরি করতে হবে। এর পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাতে হবে, তাঁদের সন্তান কী কী সুবিধা পেতে পারে সেই তথ্য।

নিয়ম অনুযায়ী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রতি স্কুলে র‌্যাম্প থাকার কথা। তাদের জন্য স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ, এমনকী বেশি সংখ্যক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়া থাকলে বিশেষ ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করার নিদানও রয়েছে। এমন শিশুদের প্রতিদিন বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়াত এবং স্কুলে দেখাশোনার জন্য বিশেষ ভাতাও দিয়ে থাকে সরকার। অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিভাবকেরা তা জানেন না এবং স্কুল কর্তৃপক্ষেরও তা জানানোর তাগিদও থাকে না। তাই ওই পড়ুয়ারা কী কী সুবিধা পেতে পারে, তা বিস্তারিত জানিয়ে সম্প্রতি সাইনবোর্ড ঝোলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু সেটাই যে যথেষ্ট নয়, তা বুঝতে পেরে এ বার নজরদারি বাড়াতে চাইছেন দফতরের কর্তারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, জোকা-র ওই স্কুলের ঘটনার পরেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে উদাসীনতার ছবিটা সামনে এসেছে।

জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) উত্তম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সম্প্রতি এক বৈঠকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর্থিক ও শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের পড়ুয়ারা অনেকেই প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সেটা অভিভাবকদের না জানার কারণেই। তাঁদের জানাতে উদ্যোগ নিতে হবে স্কুলকেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE