Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

মহড়া দৌড়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে

পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৬টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রোর লাইনের বৈদ্যুতিকরণ এবং সিগন্যালিংয়ের বিভিন্ন পর্বের কাজ প্রায় শেষের মুখে।

প্রস্তুত: খুব তাড়াতাড়িই শুরু হতে চলেছে পরীক্ষামূলক দৌড়। তার আগে তৈরি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নতুন রেক। বুধবার, সল্টলেকে। ছবি: শৌভিক দে

প্রস্তুত: খুব তাড়াতাড়িই শুরু হতে চলেছে পরীক্ষামূলক দৌড়। তার আগে তৈরি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নতুন রেক। বুধবার, সল্টলেকে। ছবি: শৌভিক দে

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:০৩
Share: Save:

সব ঠিক থাকলে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলক দৌড় শুরু করতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।

গত শুক্রবার সড়কপথে এসে পৌঁছনো ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কোচগুলিকে বিশেষ ক্রেন ব্যবহার করে সল্টলেক ডিপোর লাইনে স্থাপন করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

তাঁদের দাবি, দিন দশেকের মধ্যেই বেঙ্গালুরু থেকে এসে পৌঁছবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দ্বিতীয় রেকটিও। গত ৯ এপ্রিল রাতে রেকটি রওনা হয়েছে বলে জানান কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেএমআরসিএল) এক আধিকারিক।

পরীক্ষামূলক ভাবে দৌড় শুরু করার আগে দু’টি রেকে প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রাংশ বসানোর কাজ শেষ করা হবে। তার পরে আপাতত দু’টি রেক দিয়েই পরীক্ষামূলক দৌড় শুরু করা হবে।

যে কোনও নতুন পথে যাত্রী পরিবহণ শুরু করার আগে অন্তত ছ’মাসের পরীক্ষামূলক দৌড় প্রয়োজন বলে রেল সূত্রে খবর। তবে পুজোর আগেই যাতে কলকাতার মানুষ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় চড়ার সুযোগ পান তা নিয়ে প্রথম থেকেই তৎপর ছিলেন কেন্দ্রের তরফে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাবুল–সুপ্রিয়। পুজোর আগে অক্টোবরে গাঁধী জয়ন্তীর দিনে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা শুরু করার কথাও তিনি আগাম জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে মেট্রো কর্তারা তৎপর।

পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৬টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রোর লাইনের বৈদ্যুতিকরণ এবং সিগন্যালিংয়ের বিভিন্ন পর্বের কাজ প্রায় শেষের মুখে। মাটির উপরে থাকা ৬টি স্টেশনেও শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। তবে, মাটির নীচের স্টেশনগুলির মতো উপরের স্টেশনগুলিতে বাতানুকূল সুবিধা থাকছে না। প্ল্যাটফর্মে কাচের বিশেষ স্ক্রিন–গেট লাগানো হবে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন এসে দাঁড়ালে কামরার দরজার সামনে থাকা ওই বিশেষ গেট দু’দিকে সরে যাবে। যাত্রীদের ওঠা-নামা সম্পূর্ণ হলে আবার ওই গেট বন্ধ হবে।

নতুন আসা রেকগুলি প্রযুক্তিগত দিক থেকে মেট্রোর বর্তমান রেকের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। ছয় কোচের ট্রেনগুলির এক একটিতে ২০৬৮ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। তবে
বসার ব্যবস্থা থাকবে ২৬৮ জনের।

প্রত্যেক কামরায় সিসি ক্যামেরা ছাড়াও দরজার পাশে ‘টক-ব্যাক’ ব্যবস্থা থাকবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিশেষ বোতাম টিপে চালকের সাহায্য চাইতে পারবেন যাত্রীরা। থাকবে মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থাও। কামরায় কী ঘটছে তা নিজের কেবিনে বসে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পারবেন চালক। তবে প্রায় স্বয়ংক্রিয় মেট্রোয় যাত্রীদের ওঠানামা এবং দরজা ঠিক মতো বন্ধ হল কি না দেখা ছাড়া চালকের কোনও কাজ থাকবে না।

কামরায় বসানো ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড ও ঘোষণা থেকে কোন স্টেশন কত দূরে এবং কোন স্টেশন আসছে তা যাত্রীরা জানতে পারবেন।

কেএমআরসিএলের জেনারেল ম্যানজার অজয়কুমার নন্দী বলেন, “পুরো পথে পরিষেবা শুরু হলে আড়াই মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে। পরে ওই সময় আরও কমিয়ে দে়ড় মিনিটে আনা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

East-West Metro Wreck Salt Lake Trial Run
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE