গ্রাসে: তখনও জ্বলছে জীবন বিমা নিগমের অফিসঘর। শুক্রবার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
কর্মীরা সকলেই বেরিয়ে গিয়েছেন। তাই বহুতল অফিসের একের পর এক ঘর বন্ধ করতে করতে নীচে নামছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এমন সময়ে স্থানীয় কয়েক জন চিৎকার করে জানালেন, ওই বহুতলের উপরতলার জানলা থেকে গলগল করে বেরোচ্ছে কালো ধোঁয়া।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আগুন লেগে পুড়ে গেল চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে জীবন বিমা নিগমের অফিসের এগারোতলার ঘর। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় দেড় ঘণ্টায় আগুন নেভায়। ব্যবহার করা হয় বহুতলের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রও। তবে হতাহতের খবর নেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ ও দমকলের পদস্থ কর্তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ‘জীবন প্রকাশ’ নামে ওই গোটা বাড়িটাই জীবন বিমা নিগমের। একতলায় রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও এটিএম। ওই বহুতলের নিরাপত্তারক্ষী বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পিছনের দিকে ছিলাম। স্থানীয় লোকজনের চেঁচামেচিতে উপরে তাকিয়ে দেখি, কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। অন্যদের ডেকে জানাই।’’ খবর পেয়ে আসে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। প্রথমে বহুতলের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে জল দেওয়া শুরু হয়। পরে দমকলের উত্তর ও দক্ষিণ শাখা থেকে ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। আনা হয় উঁচু মইও। তবে সেটিকে কাজে লাগাতে হয়নি। দমকল সূত্রের খবর, গোটা ঘরেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।
তাই আগুন নিভলেও ছিল প্রচুর ধোঁয়া। শেষে জানলার কাচ ভেঙে ধোঁয়া বার করেন দমকলকর্মীরা। দমকলের সদর দফতরের স্টেশন অফিসার শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, প্রথমে এসি-তে আগুন লেগেছিল।
সেখান থেকেই আগুন গোটা ঘরে ছড়িয়েছে।’’ কাগজপত্র থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায় বলে মত দমকলকর্মীদের। তবে ক্ষয়ক্ষতি কত হয়েছে, তা অবশ্য রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনার জেরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের কিছুটা অংশ কিছু ক্ষণ বন্ধ রাখা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy