বার কয়েক ঘোষণাতেই কাজ হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া রক্তদান শিবিরে দুপুর ২টোর মধ্যেই দাতার তালিকায় ১০০ জনের নাম উঠে গিয়েছে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফের ঘোষণা, ‘‘আর কত জনের হাতে মিক্সার গ্রাইন্ডার উঠবে? যাঁরা এখনও রক্ত দেননি, চলে আসুন। আর কিন্তু বেশি মিক্সার নেই!’’
রাজ্য সরকার এবং একাধিক ব্লাড ব্যাঙ্কের নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বৃহস্পতিবার মিক্সার গ্রাইন্ডার উপহারের বিনিময়ে চলল রক্তদান কর্মসূচি। কলেজ স্কোয়ারে সেই শিবিরের উদ্যোক্তা ছিল মির্জাপুর বান্ধব সম্মিলনী নামে সূর্য সেন স্ট্রিটের একটি ক্লাব। উদ্যোক্তাদের দাবি, এ দিন প্রায় ১৩০ জন রক্ত দিয়েছেন। উপহারের জন্যেই অত জন এসেছেন।
ক্লাবের সম্পাদক সঞ্জয় নন্দী বললেন, ‘‘খুবই ছোট উপহার। রক্ত দেওয়া ভাল কাজ, এতে উপহার চলতেই পারে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘উপহারের বিনিময়ে রক্ত দেওয়া ঠিক নয় কে বলল? কোথাও লেখা রয়েছে কি? লেখা না থাকলে, আইন না থাকলে মানব কেন?’’
যদিও রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তেরা জানাচ্ছেন, রক্তদান শিবিরের জন্য অনুমতি নিতে গেলে প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হয়, উপহারের বিনিময়ে রক্ত নেওয়া যাবে না। কারণ, এতে দূষিত রক্ত পাওয়া যায়। উপহারের লোভে যে কেউ রোগ গোপন করে রক্ত দেন। তা ছাড়া, রক্তদান শিবিরগুলিতে সে ভাবে শারীরিক পরীক্ষাও হয় না। এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ডি আশিসের কথায়, ‘‘উপহার দিয়ে রক্ত নেওয়া অপরাধ। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। এতে রক্তদানের উদ্দেশ্যটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুখ্যমন্ত্রীও এ নিয়ে আবেদন করেছেন।’’ সঞ্জয়বাবুদের অবশ্য মত, ‘‘আইন করে দিলে মানব। না হলে আসছে বছর আবার উপহার দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy