বন্ধ্যত্ব চিকিৎসায় এ দেশের অবস্থান ঠিক কোথায়? দেশে প্রতি সাত জন দম্পতির এক জন এই সমস্যার শিকার। অথচ এখনও এ দেশে বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা স্বাস্থ্যবিমার আওতাভুক্ত নয়। পাশাপাশি গ্রামীণ স্তরে এই চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সমস্যাও রয়েছে। এ সবের কারণে আজও চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মানুষ, বলছেন স্ত্রীরোগ চিকিৎসকেরা।
বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে শুরু হওয়া বন্ধ্যত্ব চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকশন’-এর (আইএসএআর) চার দিনের জাতীয় সম্মেলনে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। দীর্ঘ কুড়ি বছর পরে শহরে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন দেশ বিদেশের চিকিৎসকেরা। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক দুরু শাহ বলেন, ‘‘বন্ধ্যত্ব চিকিৎসাকে বিমায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই সম্মেলন থেকেই সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা হবে। পাশাপাশি সংগঠনের তরফে যাতে গ্রামীণ স্তরেও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায় সেই প্রস্তাবও থাকবে।’’ সংগঠনের চেয়ারপার্সন গীতা গঙ্গোপাধ্যায় মুখোপাধ্যায় জানান, চার দিনের সম্মেলনে যোগ দেবেন সদ্য স্নাতকোত্তর স্তরের চিকিৎসকেরাও। যেখানে তাঁরা বন্ধ্যত্বের বিভিন্ন ধাপের চিকিৎসায় হাতেকলমে অংশ নেবেন।
স্ত্রী-রোগ চিকিৎসক গৌতম খাস্তগীরের মতে, মেয়েদের ২০-৩০ বছর বয়স সন্তানধারণের উপযুক্ত সময়। ৩৮ বছরের পর থেকে ডিম্বাণু কমে যায়। তাই কম বয়সে ডিম্বাণু সংরক্ষণে জোর দিচ্ছেন তিনি। কারণ দেরিতে বিয়ে সন্তানধারণের পথে বড় বাধা বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
সন্তানধারণের পথে মূল বাধা ধূমপান এবং স্থূলতা নিয়ে সচেতনতার প্রসারে সম্মেলনে বই প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি এ বছরই প্রথম, চিকিৎসক এবং এমব্রায়োলজিস্টদের নিয়ে জাতীয় স্তরের প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy