আইপিএলের সময়ে পানশালাগুলির বিক্রি বেড়েছে।
পানীয়ে চুমুক। সঙ্গে বড় এলইডি স্ক্রিনে ধোনি-কার্তিকদের ‘দাদাগিরি’! সব মিলিয়ে গ্যালারির উন্মাদনা পানশালাতেই!
আর ক্রিকেট ও পানীয়ের এই যুগলবন্দি শহরের পানশালাগুলির বিক্রি প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। আইপিএলের অন্তিম পর্বের মুখে দাঁড়িয়ে এমনটাই বলছে রেস্তরাঁ ও পানশালা-মালিকদের সংগঠন ‘হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’ (এইচআরএইআই)। আইপিএল চলাকালীন পানশালাগুলির বিক্রি এমনিতেই বেশি থাকে। কারণ, আইপিএল দেখার জন্য একা কিংবা দল বেঁধে অনেকেরই পছন্দের গন্তব্য হল পানশালা। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সুদেশ পোদ্দার বলেন, ‘‘চলতি আইপিএল সিজনে শহরের পানশালাগুলির বিক্রি অন্তত ২৫ শতাংশ বেড়েছে। আমাদের হিসেব তেমনই বলছে।’’ সেই বিক্রিই আরও বেড়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলা থাকলে। যেমন, গত বুধবারই নাইটদের খেলার সময়ে পানশালাগুলির বিক্রি গড়ে ৩০ শতাংশ বেশি হয়েছিল।
সংগঠনের বক্তব্য, বছরের এই সময়টায় আইপিএলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পানশালার বিক্রি ঊর্ধ্বমুখীই থাকে। সেই বিক্রি গত তিন বছরে আরও বেড়েছে। আইপিএলের সময়ে পানশালায় বেশি সংখ্যক ক্রেতা আসবেন, এমনটা ধরে নিয়েই এক মাস আগে থেকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়। ক্রেতাদের টানতে নানা রকম লোভনীয় অফার তো থাকেই, সেই সঙ্গে গত বছর কী ‘ট্রেন্ড’ ছিল, কোন অফারে সব থেকে বেশি বিয়ার বা হুইস্কি বিক্রি হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখে নেওয়া হয়। সেই মতোই পানীয়ের উপরে কী অফার দেওয়া হবে, তা ঠিক করা হয়। যেমন, এই আইপিএল সিজনে ওভার-বাউন্ডারি হলেই শহরের বিভিন্ন পানশালায় একটা বিয়ারের সঙ্গে একটা ফ্রি বা দু’পেগ হুইস্কির সঙ্গে এক পেগ ফ্রি, এমন নানা অফার দেওয়া হচ্ছে। পানীয়ের নানা ব্র্যান্ডের উপরেও রয়েছে আলাদা আলাদা অফার। সুদেশবাবুর কথায়, ‘‘আইপিএলের জন্য আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। পানীয়ে কী অফার দেওয়া হবে, সেটা সমীক্ষা করে ঠিক করা হয়। আইপিএল উপলক্ষে কী কী অফার থাকছে, তা জানিয়ে পানশালাগুলিতে পোস্টারও দেওয়া রয়েছে।’’
কলকাতার খেলা থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই পানশালাগুলির বিক্রি আরও কিছুটা বাড়ে। শহরের এক পানশালা-মালিকের কথায়, ‘‘নাইট রাইডার্সের খেলা থাকলে অনেকেই আগে থেকে টেবিল বুক করে রাখেন। বাঁধা খদ্দের ছাড়াও নাইটদের খেলা থাকলে আরও অনেক লোকজন আসেন।’’ তবে চলতি বছরের আইপিএলের আগে বিক্রি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন পানশালা-মালিকদের একাংশ। সৌজন্যে ভাগাড়-কাণ্ড। সেই চিন্তা দূর করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পানশালার মালিকেরা। পানশালা-রেস্তরাঁগুলিতে বাইরে থেকে বোনলেস মুরগি কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে এইচআরএইআই সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy