Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Zoo

চিড়িয়াখানার বাঘেদের উচ্ছিষ্ট মাংসও চলে আসে বাজারে!

আলিপুর চিড়িয়াখানার বাসিন্দা মাংসাশী পশুদের জন্য প্রতিদিন দেড়শো কেজির বেশি গবাদি পশুর মাংস কেনা হয়। কিন্তু সেই মাংসের সবটা খেয়ে উঠতে পারে না বাঘ-সিংহ। বাকি উচ্ছিষ্ট মাংস কী হয়?

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৮ ০২:৫২
Share: Save:

ভাগাড়ের মাংস নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই নয়া প্রশ্নচিহ্ন চিড়িয়াখানার মাংস নিয়ে!

আলিপুর চিড়িয়াখানার বাসিন্দা মাংসাশী পশুদের জন্য প্রতিদিন দেড়শো কেজির বেশি গবাদি পশুর মাংস কেনা হয়। কিন্তু সেই মাংসের সবটা খেয়ে উঠতে পারে না বাঘ-সিংহ। বাকি উচ্ছিষ্ট মাংস কী হয়?

চিড়িয়াখানার মাংস সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুক্রবার সেখানে গিয়েছিল কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধি দল। মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেছেন বাঘ-সিংহের খাওয়ার পরে প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি মাংস পড়ে থাকে। ‘‘সেই মাংস রামপ্রীত দাস নামে সল্টলেকের এক বাসিন্দা নিয়ে যান বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,’’ বলেন অতীনবাবু। মাছের খাবার হিসেবেই ওই মাংস ব্যবহার করা হয় বলে রামপ্রীত চিড়িয়াখানাকে জানিয়েছেন। কিন্তু শুধু মুখের কথায় সেটা বিশ্বাস করতে পুর-আধিকারিকেরা নারাজ। মাংস সত্যি সত্যি কোথায় যায় তার হদিস পেতে টিম গঠন করেছেন তাঁরা।

ভাগাড়ের মাংস মানুষের পাতে যাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে এ দিন চিড়িয়াখানা লাগোয়া এলাকার রেস্তরাঁ, খাবার দোকানে অভিযান চালায় পুরসভা। পুরসভার দলটি এর পর যায় চিড়িয়াখানার অধিকর্তার কাছে। আলোচনায় ওঠে মাংসের প্রসঙ্গ। অতীনবাবুর দাবি, বাঘ-সিংহপিছু প্রতিদিন ৮-১০ কেজি মাংস লাগে বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ৬-৭ কেজি ওরা খায়। বাকিটা পড়ে থাকে। সেই মাংসই নিয়ে যান রামপ্রীত। সে জন্য তিনি কোনও টাকা দেন না। উল্টে চিড়িয়াখানাই তাঁকে মাসে ২৬০০ টাকা দেয়।

এ দিন রামপ্রীতের ঠিকানা পেলেও ফোন নম্বর পায়নি পুরসভা। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি। আজ, শনিবার পুরসভার দল ফের চিড়িয়াখানা যাবে রামপ্রীত আর তাঁর নিয়ে যাওয়া মাংসের সুলুকসন্ধানে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE