Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Crime

মধ্যরাতে খোলা আকাশের নীচে গণধর্ষণ খাস কলকাতায়!

স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষা করার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলেন রেল লাইনের ধারে। কিন্তু, সেখানেই  গণধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা।

তিন অভিযুক্ত।

তিন অভিযুক্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ ১৪:৩০
Share: Save:

হাসপাতালে ভর্তি বোনপোকে দেখে মাঝরাতে বাড়ি ফিরছিলেন। স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষা করার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলেন রেল লাইনের ধারে। কিন্তু, সেখানেই গণধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা। বুধবার মধ্যরাতে পার্ক সার্কাস স্টেশনের এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বোনের ছেলেকে দেখে বাড়ি ফিরছিলেন বাসন্তীর বাসিন্দা এক মহিলা। রাত ১টার সময় তিনি ট্রেন ধরার জন্য পার্ক সার্কাস স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পার্ক সার্কাস এবং স্যার গুরুদাস হল্ট স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের দিকে যান। অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে খোলা আকাশের নীচে গণধর্ষণ করে তিন ব্যক্তি। মহিলার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর ওই মহিলা শিয়ালদহ জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে রেল পুলিশ। ইতিমধ্যেই তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। আর কেউ এই ঘটনায় জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার (এসআরপি) অশেষ বিশ্বাস বলেন, “ওই মহিলা গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে রেল পুলিশ বাপি মণ্ডল, সঞ্জীব সিংহ এবং ইন্দ্রজিৎ পাত্রকে গ্রেফতার করেছে।”

দেখুন ভিডিয়ো:

পুলিশের যদিও দাবি, তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে, ওই মহিলা তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গেই ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। ওই মহিলা, তাঁর পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে ঘটনাস্থলে ওই তিন অভিযুক্তও ছিল। পরিচিত ব্যক্তিটি সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও, ধরা পড়ে যায় বাকিরা। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন। যদিও মহিলার পাল্টা দাবি, ধৃতদের কাউকে চিনতেন না তিনি।

আরও পড়ুন:

আইপিএল নিয়ে দেদার ব্যবসা ইডেনের সামনে

‘ঘুষ’ নিতে গিয়ে ধৃত বেলেঘাটা আইডি-র কর্মচারী

স্থানীয়েরা প্রশ্ন তুলছেন, রাত ১টার সময় পার্ক সার্কাস স্টেশনে কী করছিলেন ওই মহিলা? বাসন্তী যেতে গেলে ক্যানিং লোকাল ধরতে হয়। কিন্তু অত রাতে তো আর বাসন্তী যাওয়ার জন্য কোনও ট্রেন পাওয়া যায় না। শেষ ট্রেন বেরিয়ে যায় সাড়ে ১১টার কিছু পরেই। প্রথম ট্রেন আবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ। নির্যাতিতার দাবি, রাতের শেষ ট্রেন না পাওয়ায় তিনি প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করচিলেন। সেই সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলেন। যদিও নিগৃহীতার বয়ানের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে।

ইতিমধ্যেই মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিকেলে ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হলে আইনজীবী কাজী ইমরান হোসেন দাবি করেন, তাঁর মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি উপস্থিত না থাকায় তদন্তকারী অফিসারের আর্জি শুনে বিচারক ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী তিন জনকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE