মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনার তদন্তে এ বার থ্রি-ডি স্ক্যানারের সাহায্য নিল কলকাতা পুলিশ। গত দু’দিন ধরে এই যন্ত্র এনে সেতুর ভাঙা অংশের ছবি তুলেছেন বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর সদস্যেরা। থ্রি-ডি স্ক্যানারে যে সব ধরনের ছবি ধরা পড়ছে, তা খতিয়ে দেখে মূল্যায়নের জন্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনার তদন্তে খড়্গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের সাহায্যই চাওয়া হবে।
থ্রি-ডি স্ক্যানারের কাজ কী? লালবাজার সূত্রে খবর, ভাঙা সেতুর যে সব অংশে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি, লেজ়ারের মাধ্যমে সেখানকার পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবি তুলেছে থ্রি-ডি স্ক্যানার। সেতুটি কী ভাবে ভেঙেছে, ভাঙার আগে কী অবস্থায় ছিল এবং সেতুর ঢালাইয়ের নীচে থাকা লোহার বিমগুলির অবস্থার ছবি ধরা গিয়েছে এই যন্ত্রের মাধ্যমে। পাশাপাশি, সেতুর বাকি অংশের এখন হাল কী, তাও ধরা পড়েছে। এতে সেতুর নকশা যেমন ধরা পড়ে, তেমনই রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক হয়েছিল কি না, সে ছবিও ধরা পড়ে যন্ত্রে। কলকাতা পুলিশের কাছে এই স্ক্যানার না থাকায় হায়দরাবাদ থেকে এই যন্ত্রটি ভাড়া করে আনা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের অনুমান, এই যন্ত্র দিয়ে দুর্ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে আসলে পূর্ত দফতরের ভূমিকাই খতিয়ে দেখতে চাইছে বিশেষ তদন্তকারী দল। সেতু ভাঙার ঘটনায় এই প্রথম ওই যন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। তবে পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার পরেও খড়্গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ বারও সেই একই পথে হাঁটছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে খবর, থ্রি-ডি স্ক্যানার ভাড়া করে আনা হলেও কলকাতা পুলিশও যন্ত্রটি কিনতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দরপত্র ডেকেছে তারা। শুধুমাত্র সেতু, উড়ালপুল কিংবা কোনও কিছু ভেঙে পড়ার ক্ষেত্রেই এই স্ক্যানার কাজে লাগবে, এমন নয়। এর মাধ্যমে উদ্ধারকাজও দ্রুত করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy