Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কড়া নিরাপত্তা শহরে, গুরুত্ব মেয়েদের সুরক্ষায়

বছরের শেষ দিনে পার্ক স্ট্রিটের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ‘ক্র্যাক টিম’ নামাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

একা: বর্ষবরণ উপলক্ষে রাতের শহরে মহিলাদের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর। পার্ক স্ট্রিটে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

একা: বর্ষবরণ উপলক্ষে রাতের শহরে মহিলাদের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর। পার্ক স্ট্রিটে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৯
Share: Save:

বর্ষবরণের রাতে কড়া নিরাপত্তায় এলাকা মুড়ে ফেলতে চলছে কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের নিরাপত্তার উপরে। পাশাপাশি মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, বিশৃঙ্খলা তৈরি-সহ বিভিন্ন ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে তিনটি কমিশনারেট।

বছরের শেষ দিনে পার্ক স্ট্রিটের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ‘ক্র্যাক টিম’ নামাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে এক জন ডিভিশনাল অফিসার, ৩০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা র‌্যাফের পাশাপাশি থাকবেন ৩০ জন পুরুষ র‌্যাফ। এঁরা মূলত এলাকার বিশৃঙ্খলা রুখতে এবং মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবেন। নিরাপত্তার জন্য পার্ক স্ট্রিটকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করে নজরদারি চালাবে পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের পর থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী রাস্তায় নেমে পড়বে। পরে রাত ১০টার পরে ১৮টি পিকেট সারা রাত ধরেই মোতায়েন থাকবে। পার্ক স্ট্রিটের আশপাশের এলাকায় পুলিশের ২২টি পিকেট থাকবে। শহর জুড়ে রাখা হচ্ছে ১৩০টি পিকেট।

লালবাজার সূত্রের খবর, নাইট ক্লাব, হোটেল এবং পানশালাগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। ক্লাব, পানশালাগুলিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। মানতে বলা হয়েছে শব্দ আইনও।

কলকাতার পাশাপাশি বর্ষবরণের রাতে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে এ বার হাওড়ায় আলাদা করে তৈরি করা হয়েছে অ্যান্টি-রোমিয়ো স্কোয়াড। পূর্ব নির্ধারিত মোট ১২টি জায়গায় যেখানে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ বেশি এসেছে, সেই সব জায়গায় দুই এসিপির নেতৃত্বে পাহারা দেবে এই মহিলা বাহিনী। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) অজিত সিংহ যাদব বলেন, ‘‘বর্ষবরণের রাতে মহিলাদের নিরাপত্তার উপরে এ বার বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। শহরের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে দু’টি অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড সব সময় পাহারায় থাকবে। যে সব জায়গায় ইভটিজিং বেশি হয়, চিহ্নিত সেই সব জায়গায় এই বাহিনী কাজ করবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, শহরে ঢোকার মূল প্রবেশ পথ অঙ্কুরহাটি ও নিবেদিতা সেতুর টোল প্লাজায় ব্রেথ অ্যানালাইজার নিয়ে নাকা তল্লাশি চলবে। মত্ত অবস্থায় মোটরবাইক চালককে ধরলে তাঁকে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তর ও দক্ষিণ হাওড়ায় বিভিন্ন পানশালা ও ক্লাবগুলির উপরে নজরদারির জন্য কয়েক জন এসিপির নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

বর্ষশেষের রাতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিধাননগর এলাকায় পথে নামবে দু’হাজার পুলিশ। পানশালা, ক্লাব, রেস্তরাঁ, শপিং মল কিংবা বিনোদন পার্কগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে আলাদা করে অবশ্যই পুলিশের নজর থাকবে সল্টলেক, পাঁচ নম্বর সেক্টর, নিউ টাউন, লেক টাউন, বাগুইআটির মতো জায়গাগুলির উপরে। প্রতিটি থানায় মহিলা পুলিশের টহল, কেন্দ্রীয় ভাবে এসিপি পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে টহলদারি চলবে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো আটকাতেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে বিধাননগর পুলিশ সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

New Year's Celebration Kolkata Police Women
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE