—ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি মিলবে কি না, তা আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ জানা যাবে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরে। কিন্তু জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা যাতে রবীন্দ্র সরোবরে বলবৎ করা যায়, তার জন্য তৎপর হয়েছে পুলিশ। বুধবার রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন থানাগুলির ওসিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুলিশকর্তারা। সেখানে পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ওসিদের নিজেদের এলাকার বাসিন্দাদের রবীন্দ্র সরোবরে পুজো করতে না যাওয়ার জন্য বোঝাতে বলা হয়েছে। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত ছটপুজোয় ঠিক কেমন পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলেননি পুলিশকর্তারা।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, রবীন্দ্র সরোবর চত্বরের দুই প্রান্তের দু’টি জলাশয়ের প্রবেশপথগুলিতে পুলিশি প্রহরা কঠোর করা হবে। এ ছাড়া, যে সব জায়গা দিয়ে খুব সহজেই সরোবরে প্রবেশ করা যায়, পুলিশি নজরদারি থাকার কথা সেখানেও। পুলিশ মোতায়েন থাকবে সরোবরে পৌঁছনোর সব রাস্তাতেও।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, গোটা সরোবরের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দু’জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে ছটের দিন সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। একই সঙ্গে সরোবর চত্বরে জাতীয় পরিবেশ আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে ডিসিদের অধীনে ছ’জনের বেশি এসি পদমর্যাদার অফিসারকে তত্ত্বাবধানের জন্য রাখা হবে। এ ছাড়াও ইনস্পেক্টরদের নেতৃত্বে বড় বাহিনী থাকার কথা রয়েছে।
পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না, এটা ধরে নিয়েই দু’দিনের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ রক্ষা করতে অন্তত গত বছরের চেয়ে বেশি পুলিশ সেখানে মজুত রাখা হবে। তবে শেষরক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে পুলিশের একাংশের মধ্যেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালেও পুলিশ অনেক পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভিড় জমতে শুরু করে সরোবরে। এমনকি, প্রতি গেটে পুলিশ থাকলেও তারা বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। তালা ভেঙে সরোবরে ঢোকার জন্য মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু সেই তদন্তের ফল কী হল, তা আর জানা যায়নি। তাই এ বছরও সরকারের মনোভাব না বদলালে পুলিশ সক্রিয় হবে না বলেই পরিবেশকর্মীরা মনে করছেন।
লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শোভাযাত্রা তো নয়ই, ছটপুজোয় পুণ্যার্থীরা প্রতি বাড়ি থেকে দু’জন করে জলাশয়ে পুজো করতে আসতে পারবেন বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশ যাতে পালন করা হয়, তার জন্য প্রতিটি থানার তরফে ওই উৎসব সংক্রান্ত বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। পুণ্যার্থীরা যাতে নিজের এলাকায় ছট পালন করেন, তার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy