ফাইল চিত্র।
এলাকার মাঠে বা কোনও ফাঁকা জায়গায় জড়ো হয়ে বাসিন্দারা যাতে বাজি পোড়াতে পারেন, তার জন্য কলকাতা পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনকে জায়গা নির্দিষ্ট করতে বলল লালবাজার। প্রতিটি ডিভিশনকেই দুই থেকে তিনটি করে জায়গা খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে, যেখানে কালীপুজো ও তার পরের দিন এলাকার বাসিন্দারা রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত বাজি পোড়াতে পারবেন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার লালবাজারে এ বিষয়ে গোয়েন্দা-প্রধান বৈঠক করেন কলকাতার ন’টি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে। সেখানেই তিনি ডিসি-দের দ্রুত ওই জায়গা ঠিক করে ফেলতে বলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এলাকার বাসিন্দারা পুলিশের ঠিক করে দেওয়া ওই মাঠ বা খোলা চত্বরে বাজি পোড়াতে পারবেন।
সেই মতো মঙ্গলবার রাত থেকেই বিভিন্ন থানার ওসি-রা নিজেদের এলাকায় কোথায় ফাঁকা মাঠ বা জায়গা রয়েছে, তা খুঁজে দেখছেন। একই সঙ্গে শহরের বাসিন্দাদের কাছেও আলাদা ভাবে বাজি না পুড়িয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় একসঙ্গে বাজি পোড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। গত বছরও একই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে বেশির ভাগ জায়গাই ফাঁকা পড়ে ছিল বাসিন্দারা না যাওয়ায়।
লালবাজার জানিয়েছে, শহরের ৩৪৫৬টি কালীপুজোর নিরাপত্তার জন্য ২৭টি নজর-মিনার থাকছে। শব্দবাজি রুখতে ১১৪টি অটোয় চড়ে শহরে টহল দেবে পুলিশ। পাশাপাশি এক অফিসারের নেতৃত্বে প্রতিটি ডিভিশনে দু’টি করে টহলদারি দল থাকবে। এ ছাড়া, প্রতিটি ডিভিশনকে দু’টি করে অতিরিক্ত হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড দেওয়া হয়েছে। কালীপুজোর দিন পুলিশ ছাড়া কন্ট্রোল রুমে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ এবং দমকলের আধিকারিকেরাও থাকবেন। এক পুলিশকর্তা জানান, শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে গত সাত দিনে ৫৪২৩ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। যা গত বারের তুলনায় দ্বিগুণ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy