ডেঙ্গির প্রকোপ থেকে বাঁচতে গত সপ্তাহেই লালবাজারের তরফে পুলিশকর্মীদের একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানা, ট্র্যাফিক গার্ড এবং পুলিশ ইউনিটের তরফে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে।
লালবাজার থেকে দেওয়া নির্দেশিকায় পুলিশকর্মীদের দেখতে বলা হয়েছিল, কোথাও নর্দমা বা বৃষ্টির জল যাতে বদ্ধ অবস্থায় না থাকে। জল জমে থাকলে তা ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডেঙ্গি ঠেকাতে নিয়মিত মশা মারার স্প্রে করাও হচ্ছে।
বিভিন্ন থানার সামনেই দীর্ঘদিন ধরে জমে রয়েছে পুরনো গাড়ির স্তূপ। তাতে বৃষ্টির জল জমে এডিস ইজিপ্টাই মশার বংশবিস্তারের আশঙ্কাও প্রবল। বাইপাস সংলগ্ন প্রগতি ময়দান থানা থেকে শুরু করে উত্তর-দক্ষিণের বিভিন্ন থানার সামনেই রয়েছে এমন ভাঙা গাড়ির সারি। লালবাজার থেকে ওই সব গাড়ি সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও থানার সামনে থাকা ভাঙা গাড়িতে যাতে জল না জমে সে দিকেও নজর দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।
কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘থানা বা অফিসের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গত সপ্তাহের নির্দেশিকায়। ডেঙ্গি আটকাতে প্রতিটি থানাকেই পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হয়েছে।’’ লালবাজার সূত্রের খবর, পুরসভার পাশাপাশি ওই সতর্কতামূলক ব্যবস্থায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সাহায্য করবে পুলিশকে।
বর্ষার শেষ দিকে শহর জু়ড়েই ডেঙ্গির প্রভাব বেশি করে দেখা দেয়। তাই স্থানীয় স্তরে ডিউটি করতে গিয়ে থানা বা ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা যাতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত না হন সে জন্যই লালবাজারের তরফে এই ব্যবস্থা বলে পুলিশের একাংশ জানিয়েছে। প্রতিটি থানা, ট্র্যাফিক গার্ড, ইউনিট গুলি ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কি না তা সংশ্লিষ্ট ডিসিদের দেখতে বলা হয়েছে।
তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লালবাজার থেকে ডেঙ্গি নিয়ে গত সপ্তাহে ওই সতর্কতা জারি করা হলেও দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন থানায় পুলিশকর্মীরা ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো করে মশা মারার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy