Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিজন সেতুর বিকল্প পথ ঠিক করছে পুলিশ

কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, আজ, শুক্রবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ওই সেতু বন্ধ রাখার জন্য কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

গুরুত্বপূর্ণ: প্রতিদিন কয়েক লক্ষ যানবাহন যাতায়াত করে বিজন সেতু দিয়ে। নিজস্ব চিত্র

গুরুত্বপূর্ণ: প্রতিদিন কয়েক লক্ষ যানবাহন যাতায়াত করে বিজন সেতু দিয়ে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৪১
Share: Save:

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিজন সেতু কবে বন্ধ রাখা হবে, তার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ওই সেতু বন্ধ রাখা হলে বিকল্প কোন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা।

কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, আজ, শুক্রবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত ওই সেতু বন্ধ রাখার জন্য কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে পুজোর পরে নতুন করে কোনও প্রস্তাব কেএমডিএ-র তরফে আসেনি। গত সেপ্টেম্বরে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছিল কেএমডিএ। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত ওই সেতু বন্ধ রাখা হলে পুজোর আগে শহরে ব্যাপক যানজট হতে পারে ভেবেই পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। পুলিশের একটি অংশের অনুমান, পুজোর মরসুম মিটে গেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিন দিন বন্ধ রাখা হতে পারে বিজন সেতু। তবে তা কবে থেকে হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি বলেই কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

কেএমডিএ সূত্রের দাবি, মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে তাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি শহরের আটটি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই মতো পুজোর আগেই সাতটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে শুধু বিজন সেতু। ওই সেতুর যা অবস্থা, তাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। পুলিশি অনুমতি মিললেই সপ্তাহান্তে ওই কাজ শুরু হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, গড়িয়াহাট ও কসবার মূল সংযোগকারীর ভূমিকায় রয়েছে বিজন সেতু। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ যানবাহন ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। ২০টিরও বেশি বাস রুট রয়েছে ওই সেতু দিয়ে। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে প্রতিটি বাসের রুটই বদলে দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। এর আগে সেতুটি যখন সেপ্টেম্বর মাসে বন্ধ হওয়ার কথা ছিল, তখন ঠিক হয়েছিল, ওই রাস্তার সমস্ত বাসকে পার্ক সার্কাস কানেক্টর ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর দিয়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া, পুলিশের ভাবনায় ছোট গাড়ির জন্য বন্ডেল গেট উড়ালপুল, সন্তোষপুর অ্যাভিনিউ, বৈষ্ণবঘাটা পাটুলি কানেক্টর-সহ কাঁকুলিয়া এবং সেলিমপুর রেলগেটের রাস্তাও রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে সেতু বন্ধ থাকাকালীন অটোগুলিকে সেতুর কাছ পর্যন্ত যেতে দেওয়া হতে পারে।

বাসের জন্য বন্ডেল গেট উড়ালপুলকে বিকল্প পথ করা হচ্ছে না কেন? পুলিশের দাবি, ওই রাস্তা দিয়ে বেশ কয়েকটি রুটের বাস-মিনিবাস চলে। পিকনিক গার্ডেন রোড বা সিএন রায় রোড অপরিসর হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে বেশি বাস চলাচল করলে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bijan Setu Kolkata Traffic Police KMDA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE