Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার কড়চা: পলাশি থেকে বক্সার

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাতাবরণে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির আক্রমণে কী ভাবে পর্যুদস্ত হয়েছিলেন সে সময়ের নবাব-শাসকেরা, কিংবা ঔপনিবেশিক শক্তির অঙ্গুলিহেলনে কী ভাবে চালিত হত তৎকালীন বঙ্গরাজনীতি, তাই জড়ানো আছে এ নাটকের পরতে-পরতে।

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

আবার ইতিহাসকে আশ্রয় করে ব্রাত্য বসুর নতুন নাট্য ‘মীরজাফর’, বছর তিনেক আগে ‘বোমা’ মঞ্চায়নের পর। এ বারের নাটকটির বিষয়কাল ১৭৫৭ থেকে ১৭৬৪ পর্যন্ত, অর্থাৎ পলাশির যুদ্ধের পরবর্তী সাত বছরের এক অনাবলোকিত ইতিহাস। পলাশির যুদ্ধে মিরজাফরের বিশ্বাসহনন, তার ফলে সিরাজদ্দৌলার পরাজয় ও তাঁর মৃত্যুর ইতিহাস সর্বজনবিদিত। তার পর থেকেই এ নাটকের কাহিনির শুরু। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাতাবরণে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির আক্রমণে কী ভাবে পর্যুদস্ত হয়েছিলেন সে সময়ের নবাব-শাসকেরা, কিংবা ঔপনিবেশিক শক্তির অঙ্গুলিহেলনে কী ভাবে চালিত হত তৎকালীন বঙ্গরাজনীতি, তাই জড়ানো আছে এ নাটকের পরতে-পরতে। ‘‘বাঙালির আইডেনটিটি খোঁজাই আমার মূল লক্ষ্য। ১৭৬৪-তে বক্সারের যুদ্ধে মিরকাশিম লড়েছিলেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, আমার নাটকে সিরাজ নন, শেষ স্বাধীন নবাব মিরকাশিম। আসলে এই সময়পর্বটা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ। তন্নতন্ন পরিশ্রমে তা তুলে এনেছি। এই অস্থির সময়ের ভিতর দিয়ে যেতে যেতে তৎকালীন বাঙালি জীবনটাকে ফিরে দেখা... শুধুমাত্র তার রাজনৈতিক দিকটা নয়, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দিকটাও উঠে আসছে আমার নাটকে। ইংরেজরা আসছে, ঢুকে পড়ছে অবিভক্ত বাংলাদেশে, ছড়ি ঘোরাচ্ছে, সেই ঔপনিবেশিকতার চাপে কী ভাবে বদলে বদলে যাচ্ছে বাঙালির জীবন। বর্তমানে দাঁড়িয়ে অতীতটাকে খোঁজা, ইতিহাস এখানে সেতুর কাজ করছে।’’ বললেন ব্রাত্য, এ নাটকের নির্দেশক ও নাটককার তিনিই। অভিনয়ও করছেন রবার্ট ক্লাইভের চরিত্রে। সিরাজের বিধবা বেগম লুৎফউন্নিসা-র চরিত্রে পৌলমী বসু। মিরজাফর-পুত্র মিরন-এর চরিত্রে কাঞ্চন মল্লিক, এবং মিরজাফরের চরিত্রে গৌতম হালদার (সঙ্গের ছবিতে)। ‘‘ক্লাইভের মতো সাহেবের চরিত্র করতে ভাল লাগছে খুবই, আরও ভাল লাগছে কাঞ্চন কিংবা গৌতমের মতো শক্তিশালী অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে।’’ জানালেন ব্রাত্য। কালিন্দী ব্রাত্যজন-এর এই নতুন প্রযোজনাটির প্রথম অভিনয় জি ডি বিড়লা সভাঘরে ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধে সাড়ে ৬টায়।

আনন্দজি

তিনি ‘এলেন, দেখলেন, জয় করলেন’। সম্প্রতি, নজরুল মঞ্চে আনন্দজি বীরজি শাহকে দেখে এমনই অভিজ্ঞতা হল কলকাতাবাসীর। হিন্দি ছবির সঙ্গীত জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি পদ্মশ্রী আনন্দজি শেষ বার এসেছিলেন ১৯৮৬ সালের ‘হোপ ৮৬’ অনুষ্ঠানে। বত্রিশ বছর পর আবার তাঁকে দেখা গেল শিশু হৃদরোগীদের কল্যাণে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস এবং রোটারি ক্লাব অব ক্যালকাটা ওল্ড সিটি-র যৌথ উদ্যোগে ‘হৃদয়া রেট্রো মেলডিজ়’ শীর্ষক এক সঙ্গীতানুষ্ঠানে। কল্যাণজি-আনন্দজি দুই ভাইয়ের জুটি আড়াইশোরও বেশি ছবিতে সুর দিয়েছে। ‘ডন’, ‘কুরবানি’, ‘ত্রিদেব’, ‘সফর’-এর সুরকারদের পৈতৃক ভিটে গুজরাতের কচ্ছে হলেও, শৈশব কেটেছে মুম্বইয়ে। আনন্দজির থেকে পাঁচ বছরের বড় ভাই কল্যাণজি মারা গিয়েছেন ২০০০ সালে। এঁদের সৃষ্টিই শোনা গেল এখানকার সঙ্গীত শিল্পীদের গলায়। শুধু তা-ই নয়, ওই সমস্ত গান তৈরির পিছনের গল্পও শোনালেন স্বয়ং আনন্দজি।

স্মরণসভা

প্রসিদ্ধ ব্যবহারজীবী, পরিচ্ছন্ন সংসদীয় রাজনীতির মূর্ত প্রতীক এবং সর্বোপরি মানবিক গুণে উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় গত ১৩ অগস্ট ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। পেশাগত শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি শ্রমিক, কৃষক ও অন্যান্য বঞ্চিত মানুষের পক্ষে বিনা পারিশ্রমিকে মামলা লড়াকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিতেন। পশ্চিমবঙ্গ ‘সেভ ডেমোক্রেসি’ সংগঠনটির সূচনালগ্ন থেকেই তিনি এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ রাজ্যে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল অকম্পিত। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে তার প্রতিবাদে তাঁরই বাড়িতে সেভ ডেমোক্রেসি আহূত সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেওয়াই ছিল তাঁর শেষ প্রকাশ্য কর্মসূচি। সেভ ডেমোক্রেসির আয়োজনে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় রাণুছায়া মঞ্চে সোমনাথবাবুর স্মরণসভা।

শতবর্ষে

‘‘চলচ্চিত্রকে যিনি নশ্বরতার চৌকাঠ পার করে দিয়েছিলেন, তিনিই বার্গম্যান।’’ সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলছিলেন সুইডিশ চলচ্চিত্রকার ইঙ্গমার বার্গম্যান (১৯১৮-২০০৭) সম্পর্কে। তাঁর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সিনেমার শিল্পভাষায় তাঁর স্বাক্ষর, শিল্পের ইতিহাসে এবং বাঙালির সংস্কৃতিতে তাঁর স্থানাঙ্ক নিয়ে বলবেন সঞ্জয়। ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধে ৬টায় চিত্রকূট আর্ট গ্যালারিতে। বক্তৃতার পর দেখানো হবে ‘দ্য সায়লেন্স’। উদ্যোগে ‘দৃশ্য’ ও ‘কবিতার সোঁতা’। অন্য দিকে ‘রঁদেভু উইথ ফ্রেঞ্চ সিনেমা’— একগুচ্ছ ফরাসি ছবি নিয়ে উৎসব। নন্দনে ১০-১২ সেপ্টেম্বর। উদ্বোধক অশোক বিশ্বনাথন। আয়োজনে ফোরাম ফর ফিল্ম স্টাডিজ় অ্যান্ড অ্যালায়েড আর্টস, সহায়তায় আলিয়ঁস ফ্রঁস্যাজ়।

নতুন আঙ্গিকে

এ বার বাংলা কবিতা উপস্থাপিত হবে পারফর্মিং আর্টস-এর বিভিন্ন আঙ্গিকে। যন্ত্রানুষঙ্গে সঙ্গীতের মাধ্যমে, আলোক প্রক্ষেপণে দৃশ্যায়নের মাধ্যমে, চিত্রধর্মও ফুটে উঠবে যাতে। কবিতাকে বহুমাত্রিক উপস্থাপনের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা। ‘‘আগামী দিনে মানুষ কবিতা শুনবে বেশি, পড়বে কম, কবিতা ফিরে যাবে শ্রুতির যুগে।’’ বলেছিলেন বেঞ্জামিন জেফানায়া, ইংল্যান্ডের ‘পারফর্মিং পোয়েট’, বেশ কিছু দিন আগে কলকাতার ব্রিটিশ কাউন্সিলে এসেছিলেন তাঁর কবিতা শোনাতে। ‘কবিতা কনসার্ট ২০১৮’— অভিনব এই অনুষ্ঠানে কবিতার গান গাইবেন লোপামুদ্রা মিত্র। আবৃত্তি শোনাবেন শোভনসুন্দর বসু। নিজের নতুন কবিতা শোনাবেন সুবোধ সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রসদনে সন্ধে ৬টায়। উদ্যোগে অভিশ্রী কালচারাল ফাউন্ডেশন।

লোকধ্বনি

‘দোহার’ লোকগানের দলের প্রধান কান্ডারি কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের অকাল প্রয়াণের পর অন্য সদস্যরা অঙ্গীকার করেন লোকসঙ্গীতের নানা কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রতি ছ’মাস অন্তর লোকসংস্কৃতির একটি বিষয়কে আধার করে কাজ হবে। প্রথম কর্মশালায় বাংলাদেশের জামালউদ্দিন হাসান বান্না লোকগানে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন। গত কাল কীর্তনে আগ্রহী প্রায় শ’খানেক শিক্ষানবিশ পাঠ নিলেন সুমন ভট্টাচার্যের কাছে। ‘জন্মদিনে কালিকাপ্রসাদ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ১১ সেপ্টেম্বর পি সি চন্দ্র গার্ডেনে প্রথমে প্রায় চল্লিশটি ভিন্ন লোকবাদ্যে দোহারের ‘লোকধ্বনি’ অনুষ্ঠানের সূচনা। এর পরে শিক্ষানবিশরা কতটা ও কী শিখলেন তা জানান দেবেন মঞ্চে। শেষে সুমন ভট্টাচার্যের কীর্তনাঙ্গের গান।

লীলাবতী

২০১৭-এর জুন মাসে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন অদ্রীশ বিশ্বাস। তার আগে সম্পূর্ণ পারিবারিক উদ্যোগে ছাপা হয় তাঁর মাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘লীলাবতী’। অদ্রীশের আগ্রহ ও কাজের পরিধি ছিল বিশাল। পড়িয়েছেন সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুল ও রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। তাঁর লেখা ছড়িয়ে আছে বহু পত্রিকায়। সম্পাদিত বই— মনোত্তমা, দুই খণ্ডে বটতলার বই, দুই খণ্ডে বাঙালি ও বটতলা, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়েরি ও গল্পসংগ্রহ। তাঁর লেখাপত্র রক্ষণাবেক্ষণে তৈরি হয়েছে ‘অদ্রীশ বিশ্বাস স্মৃতি রক্ষা কমিটি’। এই কমিটি ও ৯ঋকাল বুকসের যৌথ উদ্যোগে ১১ সেপ্টেম্বর পালিত হবে অদ্রীশের ৫০তম জন্মদিন। সন্ধে সাড়ে ৬টায় নান্দীমুখ-এ (৪/১২ শহিদনগর, গাঙ্গুলিপুকুর, কল-৩১) প্রকাশ পাবে নতুন করে নির্মিত ‘লীলাবতী’। অদ্রীশ ছিলেন লোকশিল্পের উৎসাহী সংগ্রাহক, সেই ভাবনাতেই বইটি ডিজ়াইন করেছেন ময়াঙ্ক রাই। বইটি উদ্বোধন করবেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। প্রথম পর্বে আছে নীলাঞ্জনা বাগচীর উপস্থাপনা, বিষয়: চন্দ্রাহত লেখালিখি, লীলাবতী ও অ্যাসাইলামের ডায়েরির একটি মনঃসমীক্ষণের পাঠ। পরে মনীষা মুরলী নায়ারের গান।

সংগঠক

১৯৬২ সালে বিশিষ্টদের সহযোগিতায় তিনি নতুন ভাবে গড়ে তোলেন ‘নিখিল বঙ্গ নববর্ষ উৎসব সমিতি’। সংগঠনটি সার্ক দেশভুক্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করছে ধারাবাহিক ভাবে। এই দেশগুলির শিশুরা তাঁর পরিচালনায় ‘সার্ক সংহতি শিশু মেলা’য় আদানপ্রদান করেছে নিজেদের সংস্কৃতি। অবিভক্ত মেদিনীপুরের এক অখ্যাত গ্রামে ১৯৩৯ সালের ১৩ জানুয়ারি জন্ম জ্ঞান মাইতির। পড়াশোনা কলকাতার এ ভি স্কুল ও বিদ্যাসাগর কলেজে। কর্মজীবনে যুক্ত ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। ১৯৬১ সালে তাঁর গড়া ‘সাউথ এশিয়ান চিলড্রেনস ফোরাম’ ভারত নেপাল বাংলাদেশ ভুটান এবং মলদ্বীপের শিশুদের নিয়ে কাজ করে চলেছে। দেশে বিদেশে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে উপস্থিত থেকেছেন রাষ্ট্রনেতা থেকে বিশিষ্ট জন। ২৬ অগস্ট তিনি হঠাৎই চলে গেলেন। ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধে ৬টায় বিড়লা তারামণ্ডলের সেমিনার হল-এ এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

রোমাঞ্চকর

বিশ শতকের সত্তর দশক থেকে টানা কুড়ি বছর ‘রোমাঞ্চ’ পত্রিকায় রহস্য, অলৌকিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, রূপকথা ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার পাতা ছোট ও বড়দের উপযোগী কাহিনি লিখেছেন। ১৯৯২ সালে ‘রোমাঞ্চ’ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রায় এক দশক লেখা বন্ধ। শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনীশ দেবের উৎসাহে নতুন শতকে আবার নানা পত্রপত্রিকায় লেখা শুরু করেন মনোজ সেন (জন্ম ১৯৪০)। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। স্কটিশ চার্চ স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ, বি ই কলেজে পড়াশোনা। প্রচারের আড়ালে থাকা এই প্রবীণ লেখকের একটিমাত্র সঙ্কলন প্রকাশিত হয় বছর দশেক আগে, তাও নিজের উদ্যোগে। এ বার বুকফার্ম প্রকাশ করল ‘৫x৫=২৫’ (পাঁচমিশেলি সঙ্কলন)। ভূতের গল্প, থ্রিলার ইত্যাদির সঙ্কলনও প্রকাশের পথে। অন্য দিকে ‘ক্যামেরাজি’ নামের এক অলাভজনক ভিডিয়োগ্রাফি সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে মনোজ সেনকে নিয়ে প্রকাশ করেছে একাধিক প্রোমো-ভিডিয়ো।

বহুবিস্তারী

‘‘প্রাচ্যবাদ এবং উপনিবেশের মহাফেজখানা আসলে গড়ে উঠেছিল ইংরেজ রাজকর্মচারী, এদেশীয় ভাষ্যকার, সমীক্ষক ও তাঁদের দেশীয় সহকারী, এবং পরবর্তীকালে ভারতীয় রাজকর্মচারীদের নিরন্তর অংশগ্রহণ ও কথোপকথনের মাধ্যমে।’’ লিখছেন ‘অনুষ্টুপ’ পত্রিকার ‘ভারতীয় উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির মানচিত্র’ সংখ্যার অতিথি-সম্পাদক অনুপ মতিলাল ও সৌমিত্রশংকর সেনগুপ্ত। এই কথোপকথন বুঝিয়ে দেয় যে এই ইতিহাস সরলরৈখিক নয়, অজস্র দোলাচল ও বাঁক নিয়েই তার বন্ধুর যাত্রাপথ। প্রায় সাতশো পাতার সঙ্কলনটিতে এই পথেরই বিনির্মাণ বিশিষ্ট গবেষকদের ৩৬টি রচনায় আর সংযোজনীতে। এই কালপর্ব নিয়ে বাংলায় এমন বহুবিস্তারী আলোচনা এর আগে হয়নি। ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় মহাবোধি সোসাইটি হলে বিশেষ সংখ্যাটির উদ্বোধনে প্রসাদরঞ্জন রায়।

ভ্রমণচিত্র

ভ্রমণ নিয়ে যাঁরা লেখেন তাঁরা ছবিও তোলেন। ‘ট্রাভেল রাইটার্স ফোরাম’-এর সদস্যদের বছরভর তোলা ছবি থেকে বাছাই করা ৮০টির প্রদর্শনী এ বার গগনেন্দ্র প্রদর্শশালায়। ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় শুরু, চলবে ১৭ অবধি। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ফোটোগ্রাফি-র সভাপতি সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান অতিথি, তিনিই উদ্বোধন করবেন প্রদর্শনীটি। বিশেষ অতিথি নাট্যব্যক্তিত্ব সৌমিত্র বসু।

অভিনেত্রী

চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তীর রক্তে শিল্প, ধমনীতে অভিনয়। ব্রাত্য বসুর নির্দেশনায় ব্রাত্যজন-এর ‘রুদ্ধ সঙ্গীত’ নাটকে মঞ্জুশ্রী চাকীর ভূমিকায় অভিনয় করতে করতে মুম্বই চলে যান, থিয়েটারের টানে। মুম্বইতে মানব কলের পরিচালনায় ‘কালার ব্লাইন্ড’, ‘পিলে স্কুটারওয়ালা আদমি’ নাটকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে করতে বহু শহরে ঘুরেছেন এই নাটক নিয়েই। হিন্দি নাটক করার জন্যে হিন্দি ভাষা চর্চা করেছেন দস্তুর মতো। মকরন্দ দেশপান্ডের নাটক ‘কস্তুরী’র কস্তুরী তিনিই। পৃথ্বী থিয়েটারের অতি পরিচিত মুখ এখন চিত্রাঙ্গদা। হিন্দিতে বাদল সরকারের ‘পাগলা ঘোড়া’ নাটকেও মূল নারীচরিত্রটিতে তিনি, পাওয়া যাবে হটস্টারে। রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘শেষের কবিতা’য় অভিনয়ের পাশাপাশি অনুরাগ বসুর নেটফ্লিক্স-এর জন্যে তৈরি ‘সমাপ্তি’তে মৃন্ময়ী-র চরিত্রে অভিনয়। শতরূপা সান্যালের বড় মেয়ে ও তরুণ সান্যালের নাতনি চিত্রাঙ্গদা এখন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর সম্মানে সম্মানিত, দেশ-বিদেশের একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রোৎসবে আদিত্য কৃপালনীর ‘টিকলি অ্যান্ড লক্ষ্মী বম্ব’ ছবিটির জন্য। এটি দেখানো হচ্ছে নন্দনে, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ় আয়োজিত দ্বিতীয় ন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এর (১৬-২০ সেপ্টেম্বর) শেষ দিনের শেষ শো-তে। মালয়ালম, মরাঠি, তামিল, অসমিয়া, মণিপুরি, ওড়িয়া, তিব্বতি, হিন্দি— বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার ছবির উৎসব এটি। ‘‘উদ্বোধনের দিন কেরলের পাশে দাঁড়ানো মানুষজনের দেওয়া অর্থ বন্যাত্রাণ তহবিলে তুলে দেওয়া হবে।’’ জানালেন প্রেমেন্দ্র মজুমদার, ফেডারেশন-এর পক্ষে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE