শঙ্কু-র দুর্নিবার আকর্ষণ এখনও আমার কাছে। সারা পৃথিবীর অজানা অচেনা সব অঞ্চল, গা-ছমছমে রহস্যময় সব জায়গা, দুরন্ত একটা বেড়ানোর মজা। আবার সায়েন্স ফিকশন বা ফ্যানটাসি, যা-ই বলি না কেন, তত টেকনিক্যাল নয় গল্পগুলো, পড়ার মজাটা বজায় থাকে। ছেলেবেলা থেকে এখন অবধি বিভিন্ন বয়সে পড়েছি, বিভিন্ন রকম অর্থ তৈরি হয়েছে, সেটাই বোধ হয় শঙ্কু পড়ার আসল মজা। মজার অবশ্য তার আবিষ্কারগুলোও, অনেকটা গুগাবাবা-য় ভূতের রাজার দেওয়া তিন বরের মতোই।’’ সন্দীপ রায়ের স্বরে মুগ্ধতা। সত্যজিতের প্রোফেসর শঙ্কু-র কাহিনি ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’ (সঙ্গে তারই ছবি, সত্যজিৎ এঁকেছিলেন ১৯৮০-র ‘আনন্দমেলা’ শারদীয় সংখ্যায়, প্রথম প্রকাশের সময়) নিয়ে নতুন ছবি করছেন সন্দীপ, ‘‘শঙ্কুকে নিয়ে ছবি করার ইচ্ছে অনেক দিনের, কিন্তু একটা সমস্যা বেশ প্রখর, শঙ্কুর কাহিনিতে শঙ্কু ছাড়া বাঙালি চরিত্র প্রায় নেই বললেই চলে, ফলে তাকে নিয়ে নিখাদ বাংলা ছবি করা বেশ মুশকিল। সে দিক থেকে নকুড় যে যে গল্পে আছে, সেগুলি খানিকটা ব্যতিক্রম, আর বাবারও বেশ পছন্দের চরিত্র এটি, আমি যেটা করছি সেটা বাদ দিয়ে ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও ইউ. এফ. ও.’ আর ‘প্রোফেসর রন্ডির টাইমমেশিন’-এও নকুড় আছে। নকুড় ও শঙ্কু শুধু বাংলায় কথাই বলে না, তাদের দু’জনের ভেতর একটা অদ্ভুত কেমিস্ট্রিও আছে।’’ শুভাশিস মুখোপাধ্যায় করছেন নকুড়বাবুর চরিত্রটি, আর শঙ্কুর চরিত্রে সত্যজিতের প্রিয় অভিনেতা ও তাঁর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র নায়ক ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। বললেন ‘‘অনেক দিন আগে থেকেই যে হেতু কথা হয়ে গিয়েছে সন্দীপের সঙ্গে, প্রস্তুতিও তাই অনেক দিনের। ১৯৬১-তে শঙ্কুকে নিয়ে প্রথম লিখেছিলেন মানিকদা, আর এ গল্পটা ’৮০-তে, ফলে বয়সের বিবর্তন থেকে শরীরের ওজন— শঙ্কুর সমস্ত কিছুই খুঁটিয়ে খেয়াল রাখতে হচ্ছে।’’ সন্দীপের কাছে শঙ্কু ‘‘ইউনিক, এমন চরিত্রের জুড়ি মেলা ভার, আর ডায়রি ফরম্যাট-এ লিখে যাওয়াটা তাকে আরও ইউনিক করে তুলেছে। সামান্য ব্যয়ে সামান্য মালমশলা নিয়ে যা করে শঙ্কু তাকে কুটির শিল্প ছাড়া আর কিছু বলা যায় না... অথচ সারা দুনিয়ার বৈজ্ঞানিক মহল তার স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করে না। সর্বোপরি মানুষটা নৈতিক এবং মানবিক।’’ কলকাতার স্টুডিয়োতে সদ্য শুটিং শেষ হল, আগে হয়েছে বোলপুর আর ঝাড়খণ্ডে, এ বার ব্রাজ়িলের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
বর্ণময়
• উনিশ শতকের বাঙালি শৌর্যের প্রতীক সুরেশ বিশ্বাস আজ বিস্মৃতপ্রায়। ভূ-পর্যটন, ইউরোপের সার্কাসে বাঘ-সিংহের শিহরন-উদ্রেককারী খেলা, দক্ষিণ আমেরিকা গমন, ব্রাজ়িলের সেনাবাহিনীতে নৌবিদ্রোহ দমন— ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’র মাধ্যমে এ সব বৃত্তান্ত একদা বাঙালিকে রোমাঞ্চিত করে রেখেছিল। ১৮৯৯ সালের দু’টি সমসাময়িক জীবনীও এই বীরগাথা নির্মাণে সহায়ক ছিল। কিন্তু বিশ শতকে বাঙালি কল্পনায় তিনি বিস্ময়কর ভাবে অনুপস্থিত। নতুন শতকে ইকুয়েডরের গবেষক মারিয়া বারেরা-আগরয়াল ব্রাজ়িলের মহাফেজখানার নথি ঘেঁটে সুরেশের অবিশ্বাস্য জীবনের নানা ঘটনার অকাট্য প্রমাণ সংগ্রহে সমর্থ হন। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনার উদ্যোগে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে ১৮৯৯ সালের হেমচন্দ্র দত্ত প্রণীত লেফটেনান্ট সুরেশ বিশ্বাস: হিজ় লাইফ অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার্স, তৎসহ দুর্লভ ছবি ও পোস্টার, এবং মারিয়া ও অমিত ভট্টাচার্যের দু’টি প্রবন্ধ। এই বর্ণময় চরিত্রের যথাযথ ঐতিহাসিক মূল্যায়ন বোধ হয় এ বারে সম্ভব হবে। প্রচ্ছদের চিত্রাঙ্কনটি ময়ূখ চৌধুরী অবলম্বনে।
দরবেশি
• বাউল, ফকির, দরবেশ এবং সাঁই— এমত চারখানি সহজিয়া ধারা পূর্ণ করে আছে বাংলার লোকসংস্কৃতির অঙ্গন। সুদূর মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতে এসে বৌদ্ধ এবং বৈষ্ণব তত্ত্বের সঙ্গে মিশে কালক্রমে তৈরি হয়েছিল বাংলার এক নিজস্ব ধারা, দরবেশি। ধূপগুড়ির ঠুনকিরঝার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কালাচাঁদ দরবেশ চল্লিশ বছর বয়সে মাধুকরী নিয়ে বেছে নেন দরবেশি সাধনার পথ। তিনি দেশবিদেশের বহু অঞ্চল ঘুরে, বহু বিশিষ্ট মানুষের সান্নিধ্যে থেকে নির্মল ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন এই পরম্পরাটিকে। গত ৩ ডিসেম্বর চলে গেলেন বাংলার এই শেষ মরমি দরবেশি শিল্পী। তাঁকে স্মরণে রেখেই সহজিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১০ জুন দুপুর ১টায় রবীন্দ্র সদনে অষ্টম সহজিয়া উৎসব। বিকেলে প্রদর্শিত হবে কালাচাঁদ দরবেশকে নিয়ে সহজিয়া কর্ণধার দেব চৌধুরীর নির্দেশনায় নির্মিত ‘ইন সার্চ অব দরবেশি সংস’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র। দরবেশি গানের উৎস থেকে বিবর্তন, তত্ত্বকথা এবং সমসাময়িক অসংখ্য শিল্পীর কথা ধরা পড়েছে এই ছবিতে। এ দিনের অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলার বিশিষ্ট লোকশিল্পীরা, থাকবে সহজিয়া লোকগানের দল। এ বছরের সহজিয়া সম্মান তুলে দেওয়া হবে মনসুর ফকির, বিশ্বনাথ দাস বাউল এবং কানাই দাস বাউলের হাতে।
মঞ্চগান
• বঙ্গরঙ্গমঞ্চের নাট্যভাবনা প্রথম থেকে যতই পশ্চিমি বাস্তববাদী নাট্যরীতির অনুসারী হোক, দর্শক হিসাবে সঙ্গীতপ্রিয় বাঙালি তা মানেননি কখনওই, তাই প্রাচীন যাত্রা টপ্পা পাঁচালি কীর্তন তরজা প্রভৃতি লোকজ রীতির প্রভাব এড়াতে পারেনি বাংলার মঞ্চ। শুরুর দিন থেকে দু’শতক ধরে বাংলা মঞ্চনাটকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে গান— মঞ্চগান! এই নিয়েই নব রূপে পত্রভারতী থেকে
প্রকাশ পাচ্ছে দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার মঞ্চগান/ ১৭৯৫-১৮৭২। সেই আদি পর্বে মঞ্চায়িত নাটকাদির গানগুলির প্রয়োগভিত্তিক বিচার, এবং সেই সূত্রে উঠে আসা সমাজ-মানসের শিকড় সন্ধান এ বইয়ের মূল ভিত্তি। মঞ্চগান আজও আছে, ‘‘কিন্তু যথাযথ চর্যার অভাবে অবলুপ্তপ্রায় তার ধারাবাহিক ইতিবৃত্ত।’’— দেবজিত্ জানিয়েছেন তাঁর এ গ্রন্থনির্মাণের কারণ। স্টারমার্ক ও পত্রভারতীর যৌথ উদ্যোগে বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ৬ জুন বিকেল সাড়ে ৫টায় স্টারমার্ক, সাউথ সিটি বই-মল’এ। থাকবেন আনিসুজ্জামান, সমরেশ মজুমদার, কৌশিক সেন এবং ঋদ্ধি ও দেবজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়।
যথেচ্ছাচার
• আর কিছু না থাক তাঁর গান বেঁচে থাকবেই— এমনটাই ভেবেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর দূরদৃষ্টি অভ্রান্তই ছিল। আজ যে কোনও উপলক্ষে যে কোনও অনুষ্ঠানে, আনন্দে-বিষাদে তাঁর গানের অনিবার্য উপস্থিতি। কিন্তু কী রকম ভাবে বেঁচে আছে সে গান? দেখা যাচ্ছে পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে কিংবা তাঁর গানের আরও উন্নতিসাধনে বিশেষ প্রয়াসী হয়েছেন কেউ কেউ বিভিন্ন মাধ্যমে। সিডিতে বা চলচ্চিত্রে প্রযুক্ত গানে তাল বদলে দেওয়া হচ্ছে (‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’), স্বরলিপি-বহির্ভূত স্বর আমদানি করা হচ্ছে (‘মায়াবনবিহারিণী হরিণী’), কখনও বা অহেতুক তানকরতব-এ ভরিয়ে তোলা হচ্ছে গান (‘দুই হাতে কালের মন্দিরা’)। সঙ্গে বেহিসেবি যন্ত্রের যন্ত্রণা তো আছেই। এই প্রেক্ষিতে ৬ জুন বাংলা আকাদেমিতে সন্ধে সাড়ে ৬টায় ‘বৈতালিক’ আয়োজন করেছে এক আলোচনাসভা— ‘এখন রবীন্দ্রনাথের গান’। আলোচনায় পবিত্র সরকার, আলপনা রায়, তিলোত্তমা মজুমদার, অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্চালনায় স্বপন সোম।
ফেলুদাকে নিয়ে
• সত্যজিৎ ট্রেনে দিল্লি থেকে লখনউ যাচ্ছেন ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ তৈরির কাজে, সত্তর দশকের শেষ পর্ব, সঙ্গে শামা জ়ায়দি, সত্যজিতের শিল্পসহযোগী। ট্রেনে কেউ কেউ জানতে চাইলেন শামার কাছে, ‘‘লম্বা এই ভদ্রলোককে খুবই চেনা ঠেকছে, কে যেন উনি—’’, নামটা বলাতে তাঁদের স্বগতোক্তি: ‘‘ওঃ, যিনি ছোটদের জন্যে নিয়মিত বই লেখেন!’’ শামার কাছে এ স্মৃতিকথন শুনে সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়ের মনে হয়েছিল, লেখক হিসাবেই সত্যজিৎ ভারতীয়দের কাছে যথেষ্ট সর্বজনগ্রাহ্য। ফেলুদা-স্রষ্টাকে নিয়ে ছবি করার ইচ্ছে সাগ্নিকের তখন থেকেই। তাঁর প্রায় দু’ঘন্টার ছবি ‘ফেলুদা: ফিফটি ইয়ার্স অব রে’জ় ডিটেকটিভ’-এর (সঙ্গে ছবির শুটিং-এ সত্যজিতের ফেলুদা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) প্রিমিয়ার হয়েছে নিউ ইয়র্কে, এ দেশেও দেখানো হয়েছে দু’তিনটি ফেস্টিভ্যালে। এ বারে দেখানো হবে বেঙ্গালুরুর বাংলা চলচ্চিত্রোৎসবে (৮-১০ জুন)। এ উৎসবে ‘ফেলুদা’কে নিয়ে এক আড্ডায় থাকবেন সন্দীপ রায় আর তাঁর ফেলুদা সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। দেখানো হবে সন্দীপের ফেলুদা-ছবিও। ‘‘এ আমাদের সত্যজিৎ-শ্রদ্ধার্ঘ্য’’, জানালেন উৎসব-অধিকর্তা মধুশ্রী সেনগুপ্ত।
সম্মাননা
• তাঁর প্রথম বই একান্তর, বেরিয়েছিল কলেজ-জীবনে। কাব্যগ্রন্থ তার পরেও বেশ কিছু প্রকাশ পেয়েছে, আছে কবিতাসংগ্রহ-ও। লিখেছেন ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ। খেলা নিয়ে তাঁর পরিশ্রমী গবেষণা, আছে দুই খণ্ডে খেলা অমনিবাস। তবে এই সব কিছুকে অতিক্রম করে গিয়েছে তাঁর অনুবাদক পরিচয়। যাদবপুরের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের প্রথম বছরের ছাত্র মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় পরে এই বিভাগেই অধ্যাপনা করেছেন, সেই সঙ্গে শতস্পর্শী অনুবাদ গ্রন্থে তুলে এনেছেন লাতিন আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা এবং ভারতীয় সাহিত্যের মণিমাণিক্য। শিশু-কিশোরদের জন্যও অনুবাদ করেছেন। সমমনস্কদের উত্সাহিত করেছেন অনুবাদের কাজে, তাঁদের বইপত্র প্রকাশ করেছেন নিজের সঞ্চয় ভাঙিয়ে। ২৫ এপ্রিল তাঁর আশি বছরের জন্মদিন নীরবে কেটে গেলেও ২৭ মে তিলজলায় তাঁর ফ্ল্যাটে ‘অহর্নিশ’ পত্রিকার উদ্যোগে জমে উঠল সান্ধ্য বাসর। (ছবিতে)সৌরীন ভট্টাচার্য, শঙ্খ ঘোষ, মানবেন্দ্র, অমিয় দেব, শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণব বিশ্বাস তো ছিলেনই, টেলিফোনে যোগ দিলেন নবনীতা দেব সেনও। পত্রিকার পক্ষ থেকে মানবেন্দ্রর হাতে তুলে দেওয়া হল ‘অহর্নিশ সম্মাননা’। সঙ্গের ছবি: অর্ক চক্রবর্তী।
শিল্পকর্ম
• ছবি আঁকার পাশাপাশি চিত্রশিল্পী শানু লাহিড়ীর প্রবল উৎসাহ ছিল রান্না এবং খাওয়ানোয়। বিমুগ্ধ অতিথিরা প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতেন রন্ধনপ্রণালী। এক প্রকাশকের তরফ থেকে রান্নার বই লেখারও প্রস্তাব ছিল। মধ্য-আশিতেও শিল্পীর উৎসাহের কোনও অভাব ছিল না। লেখা হল, কিন্তু ২০১৩-য় হঠাৎই চলে গেলেন তিনি। এ বার প্রকাশনার দায়িত্ব নিলেন শিল্পীকন্যা দময়ন্তী, ক’জন শুভার্থী বন্ধুকে নিয়ে। বৃহত্তর পাঠকসমাজের কাছে পৌঁছতে লেখা অনূদিত হল ইংরেজিতে। পরিকল্পনা ও অলঙ্করণে হাত মেলালেন শিল্পীর মেজদাদা নীরদ মজুমদারের চিত্রশিল্পী-পুত্র চিত্রভানু মজুমদার। আমিষ-নিরামিষ রান্নার সুলুকসন্ধানের সঙ্গে মিলে গেল শানু লাহিড়ীর ছবি। এ বার প্রকাশ পাচ্ছে টেবল্ড, পিসি-ভাইপোর যুগলবন্দি। এক পূর্ণ শিল্পকর্ম। বইয়ের প্রচ্ছদে ধরা রইল সেই বিখ্যাত টেবিলটি, যেখানে বসে দ্রুত হাতে স্কেচ করার পাশাপাশি চলত শানু লাহিড়ীর রান্নার প্রস্তুতি, অতিথি আপ্যায়ন। বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ৮ জুন সাড়ে ৫টায় যদুনাথ ভবনে (সেন্টার ফর স্টাডিজ় ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস), জহর সরকারের হাতে। অনুষ্ঠানে প্রবেশ আমন্ত্রণমূলক। প্রকাশনার খরচ মিটিয়ে বই বিক্রির উদ্বৃত্ত যাবে কোনও সেবা প্রতিষ্ঠানে, সেটাই ছিল শানু লাহিড়ীর ইচ্ছে।
অভিনেতা
• কোনও চরিত্র সম্পর্কে যা জানতে পারছি শুধু সেটুকুই করলে তা সাদামাটা হয়ে পড়ে, মাটি পায় না, রং লাগে না তাতে। ফলে আরও অনেক কিছুই যোগ করতে হয় চরিত্রটাকে জীবন্ত করে তুলতে।’’ বলছিলেন দেবশঙ্কর হালদার, তাঁর অভিনীত দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্র সংবলিত ‘রাণী কাদম্বিনী’ নাটকটি দেখানো হবে শ্যামবাজার মুখোমুখি-র নাট্যোৎসবে (৯-১৪ জুন)। ৯-১১ জুন, প্রথম পর্বে ‘দেবশঙ্কর শো-কেস’, অ্যাকাডেমিতে, তাতে আরও থাকছে: ফুড়ুৎ, বিপজ্জনক, ফেরা, মূল্য, সওদাগরের নৌকা। ‘‘সরু হয়ে লুকিয়ে চরিত্রের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারলেই হল’’, এত রকমের চরিত্রে অভিনয় নিয়ে বলছিলেন দেবশঙ্কর, ‘‘প্রচুর চরিত্র, অথচ প্রতিটি স্বতন্ত্র। অতএব প্রচণ্ড পরিশ্রম, তবু বেদম হয়েও অসম্ভব আনন্দ। আনন্দটা ফুটবল মাঠে বল নিয়ে দৌড়ে গোল করে আসার মতো।’’ এ উৎসবে তাঁকে নিয়ে বিশিষ্ট নাট্যজনদের লেখা একটি বইপ্রকাশ হবে, এবং ‘মুখোমুখি সম্মান’ তাঁর হাতে তুলে দেবেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘দেবশঙ্করের অভিনয় আমার অনেক দিন ধরেই ভাল লাগে। আমার ‘ফেরা’ নাটকে যে ও অভিনয় করছে তাতে আমি খুব খুশি।’’ সৌমিত্র-রচিত ‘ফেরা’ উৎসবের দ্বিতীয় পর্বেও, সঙ্গে ‘ঘটক বিদায়’, ১২-১৪ জুন, মধুসূদন মঞ্চে। পৌলমী চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত ও অভিনীত এ দু’টি নাটকের পাশাপাশি তাঁর পরিচালনায় আছে রবীন্দ্রনাথের ‘কালমৃগয়া’। ‘‘অকালপ্রয়াত দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করছি এ উৎসব,’’ জানালেন বিলু দত্ত, মুখোমুখি-র কর্ণধার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy