ছবি কেন হল থেকে উঠে গেল? এখনও তার সদুত্তর মেলেনি। কিন্তু ছবিটি জবরদস্তি তুলে দেওয়ার কথা মেলে ধরতে সমাজের নানা স্তরে পৌঁছতে চায় ভবিষ্যতের ভূতের ইউনিট।
আজ, শুক্রবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হচ্ছেন তাঁরা। সেখানে চলচ্চিত্রপ্রেমী ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের ডাকে, ‘সিনেমা ইত্যাদি’ শীর্ষক একটি আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন। তবে এমনিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়-চত্বরে ইদানীং ‘রাজনীতি’র অনুপ্রবেশ নিয়ে কিছুটা সাবধানী কর্তৃপক্ষ। বহিরাগত কাউকে ‘পরিচয়পত্র’ দেখিয়ে ভিতরে ঢুকতে হয়। ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর পরিচালক অনীক দত্ত ও তাঁর সঙ্গীদেরও তাই করতে হবে। এর পরে ‘স্টুডেন্টস অ্যাক্টিভিটি স্পেস’-এ জড়ো হয়ে তাঁরা আলোচনায় শামিল হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘কোনও প্রেক্ষাগৃহ বা পোর্টিকোয় এই আলোচনা বসাতে গেলে হয়তো কর্তৃপক্ষের অনুমতি দরকার ছিল। সে ক্ষেত্রে জটিলতার আশঙ্কাও ছিল। তাই ক্যান্টিনের সামনের চৌহদ্দিটাই আলোচনার জন্য আমরা বেছে নিয়েছি।’’
তবে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে পরিচালক অনীক দত্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে অরবিন্দ ভবনের সামনে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সন্ধ্যায় অনীক এবং কৌশিক সেন (যিনি এই ছবিটিরও অভিনেতা) পিকনিক গার্ডেনে গিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য। অনীকের কথায়, ‘‘শহরে অনেক স্বাধীন পরিসর রয়েছে, যাঁরা ছবিটি দেখার জন্য আগ্রহী। হলগুলিতে কেন দেখাতে দেওয়া হবে না, তার উত্তর মেলা জরুরি।’’ এখনও পর্যন্ত লালবাজারের পুলিশ কমিশনার বা বিভিন্ন হল কর্তৃপক্ষ— তাঁদের কাছে ছবিটি অপসারণের কারণ জানতে চেয়েও খাতায়-কলমে উত্তর মেলেনি। ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’টা কোথায়, তা খুঁজতে এখন আদালতে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy