লালবাজারে শোকাতুর মা। সুদীপ আচার্যের তোলা ছবি।
বালিগঞ্জের সানি পার্কে কিশোর আবেশ দাশগুপ্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে প্রাথমিক ভাবে খুনের কথা বলেছিল পুলিশ। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই ওই ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলেই বয়ান বদলে ফেলেন পুলিশের গোয়েন্দারা। সোমবার দুপুরে ওই কিশোর আবেশের মা রিমঝিম এবং পরিবারের লোকজন লালবাজারে গিয়ে পুলিশের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানালে তাঁদের আশ্বাস দেন পুলিশ কমিশনার। কিন্তু এর পরেই লালাবাজার জানায়, আবেশের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের একাংশের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, নিজেদের দুর্ঘটনা তত্ত্ব নিজেরাই তা হলে মানতে চাইছেন না গোয়েন্দারা?
এ দিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ রিমঝিম দাশগুপ্ত, আবেশের মামা রাজা দাশগুপ্ত এবং পরিবারের অন্যরা লালবাজারে আসেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাঁরা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এবং যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বিশাল গর্গের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার দিন আবেশ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মাকে ঠিক কী বলে গিয়েছিল, আবেশের বন্ধুদের মধ্যে কোনও গণ্ডগোলের কথা আবেশের মা আগে থেকে জানতে পেরেছিলেন কি না, আবেশের সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল— তা নিয়ে দফায় দফায় রিমঝিম এবং অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা। দুপুর ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁরা লালবাজার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
আরও পড়ুন: ভাঙা বোতলে পড়েই মৃত্যু, দাবি পুলিশের
রিমঝিম দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘পুলিশ কমিশনার আমাদের সঙ্গে কথা বলে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার নেই, আমাদের উপর বিশ্বাস রাখুন, আমরা ঠিক বার করে নেব।’’ তিনি দাবি করেন, যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বিশাল গর্গ পুরো ঘটনাটি শুনেছেন এবং নথিবদ্ধ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তাঁরা এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছননি। গোয়েন্দা বিভাগের একটি বিশেষ দলকে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশাল গর্গ এবং ডিসি ডিডি (২) নিলু শেরপাকে ঘটনাটি দেখতে বলা হয়েছে বলে তাঁদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।
আর এতেই উঠে এসেছে প্রশ্ন। পুলিশের একাংশের দাবি, ঘটনাটি যদি দুর্ঘটনাই হয়, তা হলে আবেশের মাকে কোন তথ্য বের করে নেওয়ার আশ্বাস দিলেন পুলিশ কমিশনার? গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ দলকেই বা দায়িত্ব দেওয়ার কথা কেন বলেছেন তিনি? পুলিশের কোনও কর্তা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy