ফাইল চিত্র।
কোন রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি-কম অথবা কোথায় যানজট রয়েছে, তা ক্যামেরার ছবি দেখে জানতে পারেন কন্ট্রোল রুমে থাকা ট্র্যাফিক আধিকারিকেরা। এ বার সেই খবর তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে জানিয়ে দেবেন রাস্তায় কর্তব্যরত ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিদের, যাতে তাঁরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন। যানজট কমিয়ে ভোগান্তি কমাতে এ বার এই নয়া পন্থা নিচ্ছে লালবাজার।
লালবাজারের দাবি, সাধারণত কন্ট্রোল রুমে থাকা আধিকারিকেরা রাস্তায় কোথাও যানজট তৈরি হলে ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি বা অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এ বার সেই ব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে চাইছেন বর্তমান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। পুজোর আগেই বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে যান চলাচল মসৃণ রাখতে প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির কথা বলেন লালবাজারের কর্তারা। বুধবার কমিশনার বাহিনীকে নির্দেশ দেন, প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি, অতিরিক্ত ওসিরা রাস্তায় থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি সে দিকে নজর রাখবেন ডিসি এবং এসি-রাও। পুলিশের এক শীর্ষকর্তাকে পুরো ব্যবস্থাটি কার্যকরী হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, পুজোর আগে শহরে যান চলাচল ব্যবস্থা নিয়ে যে তিনি খুশি নন, তা বাহিনীকে জানান সিপি। পুজোর ছুটির পরে বুধবার থেকেই সরকারি বেসরকারি অফিস খুলেছে। বিভিন্ন স্কুলও খোলা ছিল। এই পরিস্থিতিতে অবস্থা সামাল দিতে মঙ্গলবার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেন লালবাজারের এক কর্তা।
যদিও টালা সেতু বন্ধের জেরে উত্তর কলকাতা এবং উত্তর শহরতলির বড় অংশে গাড়ির গতি স্বাভাবিক রাখতে এ দিন হিমশিম খায় কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। সিঁথি মোড় থেকে পাইকপাড়া মোড় পর্যন্ত বিটি রোডে যানজট হয়। বেলগাছিয়া রোড, আর জি কর রোড, রাজা মণীন্দ্র রো়ড, দমদম রোড-সহ এলাকার বিভিন্ন রাস্তাতেও ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy