বিভ্রাট যেন আর মেট্রোর পিছু ছাড়ছেই না!
মাস কয়েক আগে চলমান সিঁড়িতে বিভ্রাটের পরে এ বার লিফট বিকল হল দমদম মেট্রো স্টেশনে। মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনায় প্রায় মিনিট ১৫ লিফটে আটকে থাকতে হল বছর পঞ্চান্নর এক যাত্রীকে।
পরে চাবি এনে লিফট নীচে নামিয়ে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করেন আরপিএফ এবং মেট্রো কর্মীরা। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই যাত্রী। স্টেশন মাস্টারের ঘরে শুশ্রূষার পরে ফের তিনি গন্তব্যে রওনা দেন। এই ঘটনার জেরে ঘণ্টা তিনেক লিফট বন্ধ রেখে মেরামতির পরে ফের সেটি চালু করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ দমদম থেকে চাঁদনি চকে নিজের অফিসে আসার জন্য মেট্রো ধরতে পৌঁছন ওই প্রৌঢ়। তিনি জানান, আপ প্ল্যাটফর্মের সামনের দিকে থাকা লিফটে ঢুকে উপরে যাওয়ার জন্য বোতাম টিপতেই দরজা বন্ধ হয়ে যায়। উপরে উঠতে শুরু করে লিফট। কিন্তু কিছুটা যাওয়ার পরে সেটি আটকে যায়। ওই যাত্রী আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কথা বলার জন্য লিফটের মধ্যে থাকা ‘টক ব্যাক’ বোতাম টেপেন। তার আগে অ্যালার্মও বাজান। টক ব্যাকে বাজতে থাকা ফোনে সাড়া দেন কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার। তিনি ওই যাত্রীকে জানান, মেট্রো কর্মীরা সাহায্য করার জন্য যাচ্ছেন। স্টেশনের মাইক্রোফোনে মেট্রো কর্মীদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন স্টেশনমাস্টার।
মেট্রো কর্মীরা বিশেষ চাবি দিয়ে লিফটের সুড়ঙ্গের দরজা খোলেন। কিন্ত উপরে বা নীচে কোথাও লিফটটি দেখতে পাননি তাঁরা। ফের ওই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, লিফটটি মাঝপথে আটকে রয়েছে। তখন হাতল ঘুরিয়ে সেটিকে ধীরে ধীরে নামিয়ে আনা হয়।
ভিতরে তখন কী অবস্থায় ছিলেন ওই যাত্রী? পেশায় রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার ওই আধিকারিক বলেন, “ভিতরে আলো, পাখা চললেও কিছু ক্ষণ পরে শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে। বাইরে কী হচ্ছে, বুঝতে পারছিলাম না। ভয় পেয়ে হাত দিয়ে দরজা খানিকটা ফাঁক করি। মিনিট ১৫ পরে লিফট ধীরে ধীরে নীচে নেমে আসে।”
ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি খড়দহের পাতুলিয়ায়। তিনি জানান, ঘটনাচক্রে এ দিনই প্রথম চলমান সিঁড়ির বদলে বদলে লিফটে উঠেছিলেন। তার পরেই এমন ঘটায় তিনি কিছুটা আতঙ্কিত। ওই লিফটের কাছেই একটি চলমান সিঁড়ি গত মে মাসে উল্টো দিকে চলতে শুরু করায় দুর্ঘটনা ঘটে।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লিফটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy