‘টক টু মেয়র’ -এ মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।
দু’টি পুকুর ছিল কসবা এলাকার কসবা বোসপুকুরে। সেগুলির ঠিকানা জানিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানালেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। একই ধরনের আবেদন এল বেহালার মহারানি ইন্দিরাদেবী রোডের এক বাসিন্দা ডলি মোড়লেরও। তিনি জানান, এলাকার একটি পুকুর ভরাট হয়ে এখন জঞ্জাল ফেলার জায়গায় পরিণত হয়েছে। বাড়ছে মশা। মেয়রের কাছে তাঁরও আবেদন, ‘‘জায়গাটায় সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে দিন।’’
প্রতি বুধবার বিকেল ৪টে থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল গত জুলাই মাস থেকে। এর মাধ্যমে ফোনে শহরবাসীর নানা অভিযোগের কথা শুনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করেন মেয়র। পুজোর আগের সপ্তাহ থেকে অনুষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। বুধবার ফের সেটি চালু হল। এ দিন শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ জন বাসিন্দা তাঁদের সমস্যা নিয়ে ফোন করেন। তখনই আসে পুকুর ভরাটের অভিযোগ। মেয়র অবশ্য তাঁদের আশ্বস্ত করে জানান, দু’-এক দিনের মধ্যেই পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মী ও অফিসারেরা এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাদুরদহের এক বাসিন্দা এ দিন মেয়রকে জানান, তিন মাস ধরে তাঁর এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। তা শুনে মেয়র জানান, ওই এলাকায় এখনও পুরসভার নিকাশি নালা করা হয়নি। কিছু প্রোমোটার ফাঁকা জায়গায় বাড়ি বানাচ্ছেন। এখন সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা। কেইআইআইপি-র আগামী প্রকল্পে পুরসভা ওই সব এলাকার নিকাশি উন্নয়নের কাজ করবে। তাই কিছু সময় লাগবে। তবে বর্তমানে জমা জল বার করার জন্য পুরসভার কর্মীদেকে পাঠানো হবে বলে জানান মেয়র।
অনুষ্ঠানে এ দিন এক ব্যক্তির কাতর আবেদন, ‘‘মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কিন্তু বিয়েবাড়ি পাচ্ছি না। বড় বিপদে পড়েছি।’’ মেয়র তারও ব্যবস্থা করে পাত্রীর বাবাকে চিন্তামুক্ত করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy