সাত দিন ধরে এলাকায় পানীয় জল নেই। অথচ সময়ে সেই খবরই পেল না বিধাননগর পুরসভা। বাসিন্দারা পথ অবরোধ করার পরে টনক নড়ল পুর প্রশাসনের। শুরু হল কাজ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস পুর কর্তৃপক্ষের।
শুক্রবার সকাল আটটা থেকে বাগুইআটির জগৎপুরের আদর্শপল্লির মোড়ে বালতি, কলসি নিয়ে গাছের ডাল ফেলে তিন ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করেন প্রায় শ’দুয়েক বাসিন্দা। বাগুইআটি ও নিউ টাউন থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে যায়। প্রতিশ্রুতিতেও কাজ হয়নি। বরং সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাসিন্দাদের। খবর পেয়ে পুর আধিকারিক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসে বিক্ষোভকারীদের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠে যায়।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পাম্পহাউস থেকে ২০ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হয়। পাম্প নষ্ট হওয়ায় আদর্শপল্লি, স্বামীজিনগর, শিমুলতলা-সহ দু’টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, আট তারিখ সকাল সাড়ে এগারোটায় পাম্প খারাপ হয়। ফলে রাস্তার কল থেকে জল আনতে ভিড় হয়। জল নিয়ে ঝামেলা গড়ায়। পরে পুরসভা জলের গাড়ি পাঠালেও সমস্যা মেটেনি। বাসিন্দা রাহুল দেবরায় বলেন, ‘‘কাজ হলে অবরোধ করার জন্যই হবে।’’
পুরসভার দাবি, পাম্প মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার সকালের মধ্যেই জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
এত দিন কেন কাজ হয়নি?
পুর আধিকারিকদের একাংশের কথায়, তাঁরা এই পরিস্থিতির কথা বুধবার জেনেছেন। এ দিকে কাউন্সিলর চামেলি নস্কর জানান, তিনি ১০ তারিখে পুরসভায় পাম্প নষ্টের কথা জানান। অথচ মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলর কিংবা পাম্প হাউসের কর্মীরা কেউই তাঁকে ঘটনার কথা জানাননি।
মেয়র পারিষদ বীরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘পাম্প অপারেটরদের নিয়েও বৈঠক করা হবে। শুধু পাম্প চালানো নয়, তাঁদের পাম্প হাউসের সমস্যাও সময়ে জানাতে হবে।’’
এই ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানান, ‘‘যন্ত্রের সমস্যা হতেই পারে। বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে। তার পরেও কেন সময় লাগল তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy