Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রচারের ময়দানে এ বার চিনা ঘড়ি, হাতের ব্যান্ড!

এমনিতেই মেয়েদের মাথার ক্লিপ, সানগ্লাস, মোবাইল থেকে শুরু করে ঘরের অন্দরসজ্জা, আলো— সবেতেই চিনা জিনিসের রমরমা।

বাজারে বিকোচ্ছে নানা দলের প্রতীক-সহ এমনই ব্যান্ড। —নিজস্ব চিত্র

বাজারে বিকোচ্ছে নানা দলের প্রতীক-সহ এমনই ব্যান্ড। —নিজস্ব চিত্র

দীক্ষা ভুঁইয়া
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০৭
Share: Save:

ভোটের বাজারেও এ বার ভাগ বসাল চিন!

শুরুটা হয়েছিল দেওয়াল লিখন দিয়ে। তবে তাতেই সীমাবদ্ধ না থেকে এ বার ভোটের প্রচার সামগ্রীতেও চিনা জিনিসের ছড়াছড়ি। দেশীয় শাড়ি, টি-শার্ট, টুপি, ছাতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে চিনা ঘড়ি, পেন আর হাতের ব্যান্ড। যা দেখে অনেকেই বলছেন, এ তো দেখি যে দিকে তাকানো যায়, শুধুই চিন!

এমনিতেই মেয়েদের মাথার ক্লিপ, সানগ্লাস, মোবাইল থেকে শুরু করে ঘরের অন্দরসজ্জা, আলো— সবেতেই চিনা জিনিসের রমরমা। কিন্তু তা বলে ভারতের রাজনীতিতে চিনের প্রবেশ এর আগে ঘটেনি বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের একাংশের। দিন কয়েক আগে দক্ষিণ কলকাতার তপসিয়া-ট্যাংরা এলাকায় প্রার্থী মালা রায়ের সমর্থনে স্থানীয় চিনারা দেওয়াল লিখেছেন চিনা অক্ষরে। এ বার ভোট-প্রচারের সামগ্রীতেও চিন যে ঢুকতে শুরু করেছে, সেই ছবি ধরা পড়ল বড়বাজার এলাকা ঘুরে।

সেখানকার ওল্ড চিনা বাজারে শাড়ি, টুপি, পতাকা, দলীয় প্রতীকের ব্যাজের পাশে দেদার বিকোচ্ছে চিনা ঘড়ি, হাতের ব্যান্ড, পেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শাড়ি, টি-শার্ট, টুপি বা অন্য সব জিনিস তৈরি হয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। সেখান থেকে সেগুলি বস্তাবন্দি হয়ে বাজারে ঢুকেছে। কিন্তু এ বারই তাঁরা পেয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক দেওয়া প্লাস্টিকের ঘড়ি, হাতের ব্যান্ড, পেন— যার সব ক’টি ‘মেড ইন চায়না!’ ভোটের মুখে নতুন এই আমদানি দেখে সেগুলি অনেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ নমুনা সংগ্রহ করছেন স্থানীয় নেতাদের দেখাবেন বলে, তো কেউ আবার আগেই পছন্দ করে গিয়েছিলেন। এখন এসেছেন অর্ডার দিতে।

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দোকানিরা বলছেন, প্রচারে অভিনবত্ব আনতে অনেকেই পছন্দ করছেন হাতের ব্যান্ড। কিন্তু এই মুহূর্তে শুধু এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন দেওয়া হাতের ব্যান্ডই মিলছে। অন্য দিকে, ঘড়ি এসেছে শুধু বিজেপি আর কংগ্রেসের। যা দেখে ব্যবসায়ীরা অনেকে রসিকতার সুরে বলছেন, ঘড়িটাও যদি তৃণমূলের আসত তা হলে বিক্রি আরও বাড়ত।

ওল্ড চিনা বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, এ বারই প্রথম ভোটের প্রচারের জন্য চিনা জিনিস আসা শুরু হয়েছে। এক ব্যবসায়ী জানালেন, এক-একটি ঘড়ির দাম ১৫ টাকা, হাতের ব্যান্ড ৪ টাকা আর পেন ৫ টাকা করে। সাধারণত চিনা জিনিস ছাড়া কম দামে এমন মেলে না। আর একসঙ্গে অনেক নিলে দামেও কম পড়ে। ফলে ভোটের প্রচারে এ বার শাড়ি, দলীয় প্রতীক দেওয়া টি-শার্ট, টুপির পাশাপাশি অনেকেই মজেছেন ঘড়ি আর হাতের ব্যান্ডে।

ওল্ড চিনা বাজারের এক ব্যবসায়ী রাহুল গুপ্ত জানালেন, বাজারে পা দিয়েই কিন্তু তা দখল করতে প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে চিন। তবে তৃণমূলের প্রতীক দেওয়া ঘড়ি এলে বিক্রি বেশি হত বলেই তাঁর দাবি। কারণ যতই বিজেপি ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলুক, এ রাজ্যে এখনও তৃণমূলের দলীয় প্রতীক বা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দেওয়া জিনিসেরই চাহিদা বেশি। তৃণমূলের প্রতীক চিহ্নের ঘড়ি কি মিলবে না? রাহুলের জবাব, এ সব জিনিস সরাসরি চিন থেকে আসছে। ওরা তৈরি করে পাঠালে নিশ্চয় আসবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE