মৃত রাজু দুয়ারি। নিজস্ব চিত্র
এক যুবকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটল মানিকতলার বাগমা়রি এলাকায়। সোমবার সকালে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে রাজু দুয়ারি নামে বছর চৌত্রিশের ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
রাজুর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজুর স্ত্রী তানিয়া দুয়ারির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন তাঁরা।
বছর পাঁচেক আগে তানিয়া নামে ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় রাজুর। তার পর থেকে বাগমারি এলাকায় ভাড়া থাকতেন ওই দম্পতি। রাজুর পরিবারের দাবি, ওই ভাড়াবাড়ি ঠিক করে দিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনই। প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, বিভিন্ন কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত। রবিবারও কোনও কারণে অশান্তি হয়। চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা।
আরও পড়ুন: লখনউয়ে জনজোয়ার, প্রিয়ঙ্কার রোড শো থেকেও মোদীকে রাফাল খোঁচা রাহুলের
এ দিন সকালে তানিয়া তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনকে খবর দেন, রাজু আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরা এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। তারা এসে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত রাজুর দেহ উদ্ধার করে। একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করতেন রাজু।
রাজুর পরিবার এবং তাঁর প্রতিবেশীদের একাংশের অভিযোগ, তানিয়ার একাধিক বন্ধু ছিল। সেই সব পুরষদের সঙ্গে প্রায়ই তিনি ফোনে কথা বলতেন। রাজু কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর, মাঝেমধ্যেই ওই ভাড়াবাড়িতেও অনেককে আসতে দেখা যেত। অভিযোগ, ঘরে মদের আসরও বসাতেন তানিয়া। এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। তানিয়ার অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন নিয়েই মূলত রাজুর সঙ্গে ঝামেলা হত বলে দাবি তাঁদের। রাজুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে অসঙ্গতি, বিধায়ক খুনে প্রশ্ন ধৃতদের নিয়েও
ঠিক কী কারণে মৃত্যু, ঘটনার সময় তানিয়া কী করছিলেন— তদন্তকারীদের কাছে তা এখনও স্পষ্ট হয়। রাজুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তানিয়ার সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। যদিও পুলিশের কাছে তানিয়া জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ‘‘এই ঘটনায় তানিয়াদেবীর কোনও ভূমিকা আছে কি না বা রাজুকে কোনও ভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল কি না, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy