প্রতীকী ছবি।
বকেয়া টাকা না মেটানোয় ছ’দিন পরেও বিশ্বকাপের কোনও চ্যানেল চালু হল না মন্থনের কেব্ল পরিষেবায়। সম্প্রচারকারী সংস্থা ‘সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া’-র ইঙ্গিত, পরিষেবা চালু করার জন্য তাদের প্রাপ্য বকেয়া সংক্রান্ত জট কাটা জরুরি। এবং এই প্রথম তারা স্বীকার করেছে, মন্থনের জন্যই ভুগতে হচ্ছে শহরের খেলাপাগল দর্শকদের একাংশকে।
এ নিয়ে মন্থনের অন্যতম ডিরেক্টর সুদীপ ঘোষকে মঙ্গলবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সোনির এক মুখপাত্র এ দিন জানান, মন্থনের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁদের আশা, মন্থনের যে বিপুল বকেয়া রয়েছে, তা তাঁরা মিটিয়ে ফেলবেন। তিনি বলেন, ‘‘ওদের দীর্ঘদিনের বকেয়ার জন্য শহরবাসীদের অনেকেই বিশ্বকাপ দেখতে পাচ্ছেন না। এ জন্য আমরা দুঃখিত।’’ তিনি আরও জানান, চ্যানেলগুলির সম্প্রচার ফের শুরু করার জন্য মন্থনকে ‘টিডিস্যাট’-এর আইনি নির্দেশিকা মানতেই হবে।
ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম দিন সব ঠিক থাকলেও দ্বিতীয় দিন পর্তুগাল-স্পেন ম্যাচের কিছু ক্ষণ পরেই হঠাৎ ‘মাল্টি সিস্টেম অপারেটর’ (এমএসও) মন্থনের পরিষেবা থেকে উধাও হয়ে যায় সেই খেলার চ্যানেলগুলি। তার পরে কিছু এলাকায় সেগুলি ফের দেখা গেলেও কেব্ল ব্যবসায় যুক্ত লোকজনের অভিযোগ, প্রযুক্তির সাহায্যে সেগুলি বেআইনি ভাবে সম্প্রচার করা হচ্ছে। বাকি জায়গায় অবশ্য সে সব পুরোপুরি বন্ধ।
এই ঘটনার জেরে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। যেমন, মন্থনের অনেক গ্রাহকই বিশ্বকাপের খেলা দেখার জন্য কেব্ল অপারেটরকে আগাম টাকা দিয়েছিলেন। তা-ও খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মন্থনের বকেয়া অর্থ না মেটালে চ্যানেলগুলি যে বন্ধ হয়ে যাবে, সে কথা কি সোনি দর্শকদের আগাম জানিয়েছিল? সাধারণত, এ ধরনের জট থাকলে চ্যানেল বন্ধ করার আগাম ইঙ্গিত টিভির পর্দায় সম্প্রচার করেন সংশ্লিষ্ট চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। যাঁরা টাকা মিটিয়েও খেলা দেখতে পেলেন না, ক্রেতা হিসেবে তাঁদের সেই অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এ সবের কোনও জবাব সোনি বা মন্থন, কেউই দেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy