—প্রতীকী ছবি।
বিবেক উৎসবেও গরহাজিরা বিতর্ক পিছু ছাড়ল না বিধাননগর পুরসভার। শনিবার প্রতি বছরের মতো পুরভবনের উল্টো দিকে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির পাদদেশে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, সেখানে ৪১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ছিলেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত, দুই মেয়র পারিষদ প্রসেনজিৎ সর্দার, দেবাশিস জানা এবং এক কাউন্সিলর আজিজুল হক! স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে উপস্থিতির হার দেখে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন মেয়র পারিষদ (যুবকল্যাণ) প্রসেনজিৎ সর্দার। সম্প্রতি বিধাননগর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডেপুটি মেয়র-সহ একাধিক কাউন্সিলর গরহাজির ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই, শনিবারের ঘটনা অন্য মাত্রা যোগ করেছে।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, কাউন্সিলরদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ১১টা নাগাদ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রসেনজিতের বক্তব্য, ‘‘পুর কমিশনার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পুরসভার হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছিলাম। এর পরেও এত কম উপস্থিতির হার কাম্য নয়। সরকারি নির্দেশিকা মেনে এই অনুষ্ঠান। বিবেক উৎসব তো কারও ব্যক্তিগত কর্মসূচি নয়!’’ পুরসভা সূত্রের খবর, আধিকারিকেরা হাজির থাকলেও কাউন্সিলরদের কম উপস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন।
এ বিষয়ে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অন্যদের কথা বলতে পারব না। মনীষীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে সাধারণত হাজির থাকি। এ দিন নিজের ওয়ার্ড-সহ আরও অনেক অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে হয়েছিল। তাই যেতে পারিনি। তা ছাড়া এক বন্ধুর মৃত্যুতে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম।’’ অনুপস্থিত বাকিরাও অসুস্থতা এবং ওয়ার্ডের অনুষ্ঠানের ব্যস্ততাকেই কারণ বলে জানিয়েছেন।
হাজিরা বিতর্কে মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দ সকলের ঊর্ধ্বে। যাঁর মনে হয়েছে তিনি এসেছেন। নিজস্ব মূল্যবোধের বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy