Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘হাতছাড়া’ কেএমডিএ-র সম্পত্তি, ব্যবস্থা নিচ্ছে সংস্থা 

কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের বক্তব্য, কলকাতায় কেএমডিএ নির্মিত প্রায় ৮০০০টি ফ্ল্যাট এবং প্রায় ৩০০০টি দোকান রয়েছে। সম্প্রতি কেএমডিএ-র সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ১৭০০টি ফ্ল্যাট এবং দেকানের ভাড়াটের স্বত্ত্ব নিয়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়েছেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০২:৪০
Share: Save:

কেএমডিএ-র ভাড়া দেওয়া বেশ কিছু ফ্ল্যাট এবং দোকান বেদখল হওয়ার অভিযোগ উঠল। সংস্থা সূত্রের খবর, সরকারি ফ্ল্যাট-দোকান ভাড়া নিয়ে অন্যদের আবার তা ভাড়া দিয়ে রেখেন অনেকেই। যাঁদের নামে দোকান এবং ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া রয়েছে, তাঁদের এই সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। তাতে কোনও গোলমাল পেলেই সেই ভাড়াটেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেককেই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হকিম বলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি ‘বেহাত’ হতে দেওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ফ্ল্যাট এবং দোকানের একটি তালিকা তৈরি করে তার মূল ভাড়াটেকে নোটিস দেওয়া হবে। যদি দেখা যায়, যাঁদের নামে ওই সম্পত্তি রয়েছে, তাঁদের পরিববর্তে অন্য কেউ থাকছেন, সে ক্ষেত্রে মূল ভাড়াটেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কেএমডিএ সূত্রের খবর, আশির দশকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কেএমডিএ সরকারি কর্মীদের জন্য আবাসন এবং দোকান তৈরি করেছিল। পরবর্তীকালে দেখা যায়, যাঁদের নামে ওই ফ্ল্যাট এবং দোকান বরাদ্দ করা ছিল, তাঁদের অনেকেই সেগুলি অন্য কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাকে ভাড়া দিয়েছেন।

কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের বক্তব্য, কলকাতায় কেএমডিএ নির্মিত প্রায় ৮০০০টি ফ্ল্যাট এবং প্রায় ৩০০০টি দোকান রয়েছে। সম্প্রতি কেএমডিএ-র সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ১৭০০টি ফ্ল্যাট এবং দেকানের ভাড়াটের স্বত্ত্ব নিয়ে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, যাঁদের নামে এগুলি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি তাঁরা অন্যকে ভাড়া দিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের সম্পত্তি থেকে কোনও ভাড়াও পাওয়া যাচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষের অভিযোগ।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, বামফ্রন্ট আমলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এই ধরনের ফ্ল্যাট এবং দেকান চিহ্নিত করতে পারলে মূল ভাড়াটেকে ওই সম্পত্তি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। উন্নয়ন সংস্থা যৌথ সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক

প্রাণবন্ধু নাগ বলেন, ‘‘সংগঠনের তরফে বিষয়টি নিয়ে বাম আমল থেকেই কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। এই পরিকল্পনার পিছনে ভাল উদ্দেশ্য থাকলেও তা সফল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট আবাসন চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE