কামারহাটি পুর এলাকার সেই ক্যাম্প। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দুই কিশোরীর মৃত্যু। আর তার পরেই এলাকায় জ্বরের প্রকোপ কমাতে বসল মেডিক্যাল ক্যাম্প।
কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়ার টেক্সম্যাকো শ্রমিক আবাসন ও কলোনিতে সোমবার ওই ক্যাম্প চালু করেছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন সকাল থেকে ওই ক্যাম্পে প্রায় ১১৫ জন জ্বরে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) বিমল সাহা। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেককে জ্বরের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ৫ জনকে রক্ত পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।’’
কিন্তু এলাকায় দু’টি মৃত্যুর আগে কেন ক্যাম্প করার কথা ভাবা হল না?
বিমলবাবুর দাবি, ‘‘সব ওয়ার্ডেই এই মেডিক্যাল ক্যাম্প নিয়মিত করা হয়। কিন্তু টেক্সম্যাকো শ্রমিক কলোনি এলাকায় সমস্যাটা বেশি। তাই পুজোর মরসুমে বিপত্তি রুখতে এই ক্যাম্প করা হল। আগামী কয়েক দিন চলবে।’’
গত সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছিল টেক্সম্যাকো এলাকার বাসিন্দা ১২ বছরের আরশিয়ানা পারভিনের। কয়েক দিন পরে শনিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় ওই এলাকারই বাসিন্দা, ১৪ বছরের অমৃতা সিংহ। আরশিয়ানার ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছিল, ‘ডেঙ্গি হেমারিজেক শক’। আর শ্রমিক আবাসনের বাসিন্দা অমৃতার মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে, ‘এনএস-১ রিঅ্যাক্টিভ ফিভার অ্যান্ড শক’।
স্থানীয়দের দাবি, কামারহাটির ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাফাই না হওয়া নিকাশি নালা উপচে গিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার রূপালি সরকার বলছেন, ‘‘টেক্সম্যাকো কোম্পানি কোনও দিনই এলাকা সাফ করে না। বারবার বলেও ফল হয়নি।’’ যদিও টেক্সম্যাকো কর্তৃপক্ষের দাবি, সাফাই কাজের দায়িত্ব তাদের একার নয়। স্থানীয় পুর প্রতিনিধিরও দায়িত্ব রয়েছে। এই চাপান-উতোরের মধ্যেই এলাকায় অপরিষ্কার অংশ কোথায় কোথায় রয়েছে, তার খোঁজে ড্রোন উড়িয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ।
বিমলবাবু জানান, আরশিয়ানার মৃত্যুর পরে টেক্সম্যাকো সংস্থা এলাকায় সাফাই কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি, পুরসভাও ডেঙ্গি রুখতে অভিযান চালাচ্ছে। ওই এলাকার বেশ কয়েক জন কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ দিন তাঁদের দেখতে যান বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy