কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওষুধের স্টোরে অগ্নিকাণ্ড। —ফাইল চিত্র
আগুনের কারণ নিয়ে ব্যাখ্যা নেই। তবে, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের উপস্থিতি ও ধোঁয়ার কারণে তা ব্যবহার না করার স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ঘটনার ৭ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিন সপ্তাহ পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে বিশ্লেষণে বসেছে স্বাস্থ্যভবন।
৩ অক্টোবর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের নীচে ফার্মেসি বিভাগে আগুন লাগে। প্রায় ছ’কোটি টাকার ওষুধ পুড়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করে। সম্প্রতি ওষুধের ক্ষতির পরিমাণ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার মতো একাধিক বিষয়ে তদন্ত করে কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানায়, মেডিক্যাল কলেজের অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্ট স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হয়। সেখানে আগুনের কারণ উল্লেখ নেই। তবে, ফার্মেসি বিভাগে অগ্নিনির্বাপক স্প্রে ছিল বলেই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসপাতালের যাবতীয় ওষুধ মজুত থাকত সেখানে। ধোঁয়ার জেরে কর্মীরা ঢুকে ওই স্প্রে ব্যবহার করতে পারেননি। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘আগুনের কারণ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব হাসপাতালের তদন্ত কমিটির নয়। কর্মীদের দায়িত্ব ঠিক ছিল কিনা, সেটাই দেখছে তারা। অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা জোরদার করতে হাসপাতালের তরফে কিছু পরামর্শ দফতরকে পাঠানো হয়েছে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী দল জানায়, শট সার্কিট থেকে আগুন লাগেনি। ফার্মেসি বিভাগের দরজায় নিরাপত্তা ছিল না। ফলে, অন্য কোনও ভাবে আগুন লেগেছিল কিনা সেটা ফরেন্সিক রিপোর্ট না দেখে বোঝা যাবে না। ঘটনায় এখনও কাউকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। স্বাস্থ্যভবনের এক শীর্ষকর্তা জানান, কোনও হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগকেই বেসমেন্টে রাখা যাবে না। আরজিকর, এনআরএস হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগ সরানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও বিকল্প জায়গার সন্ধান চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy