Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মেডিক্যাল শিক্ষক আসলে ‘প্রতারক’, ফাঁস হল গ্রেফতারে

প্রতারণার অভিযোগে কয়েক বছর আগে বিধাননগর এবং ত্রিপুরায় গ্রেফতার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পরে জামিনে মুক্তি পান। এই তথ্য পুলিশের কাছে ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৯
Share: Save:

প্রতারণার অভিযোগে কয়েক বছর আগে বিধাননগর এবং ত্রিপুরায় গ্রেফতার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পরে জামিনে মুক্তি পান।

এই তথ্য পুলিশের কাছে ছিল। তার পরেও তাঁকে একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে বহাল করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়।

সেই ব্যক্তিকেই ফের প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। তাতেই টনক নড়েছে প্রশাসনের। কী ভাবে এই নিয়োগ সম্ভব হল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সদুত্তর মেলেনি। তবে তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ করে দেখা হবে।’’

সেই ব্যক্তি, চিকিৎসক শান্তনু তথাগত পালকে মঙ্গলবার কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ। ধৃতকে বুধবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৩-এ বিধাননগর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কলকাতা ও বর্ধমানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আছে। মণিপুরে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ছ’টি ওয়ারেন্টও জারি হয়েছে। পুলিশ আরও জেনেছে, ত্রিপুরাতেও প্রতারণার অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় প্রতারণার মামলায় জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে কল্যাণীর জহওরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে রেডিওলজি বিভাগে কাজে যোগ দেন শান্তনু। বর্তমানে তিনি বিভাগীয় প্রধানের কাজ সামলাচ্ছিলেন।

এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি ওই চিকিৎসক ঝাড়খণ্ডে একটি অর্থলগ্নি সংস্থাও খুলেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার শাখা খোলা হয়েছিল ঝাড়গ্রাম ও হলদিয়ায়। সেখানে প্রতারিত হয়ে কয়েক জন কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর।

প্রশ্ন উঠেছে, ওই ব্যক্তির সম্পর্কে খোঁজ না নিয়ে কী ভাবে তাঁকে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়োগ করা হল? রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অবশ্য সদুত্তর মেলেনি। রেজিস্ট্রার সুকান্ত সিংহ শুধু বলেন, ‘‘ওঁর গ্রেফতারি সম্পর্কে জানতাম না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’ তবে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, নিয়োগের আগে শান্তনুর বিভিন্ন শংসাপত্র দেখা হয়েছিল। এক পুলিশকর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতের বিরুদ্ধে মেলা তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্রও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Medical teacher Fraud Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE