প্রতীকী ছবি।
তাকে গুলি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল গোর্খা নামে এক দুষ্কৃতী। কিন্তু আদালতে সাজা হল মহম্মদ শাকিল নামে সেই অভিযোগকারীর! শিয়ালদহ আদালতের বিচারক বলরাম হাজরা বুধবার মহম্মদ শাকিলকে তিন বছরের সাজা দিয়েছেন। এই মামলার সরকারি কৌঁসুলি মৃন্ময় মিত্র জানান, শাকিল নিজেই নিজের পায়ে গুলি করেছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল, গোর্খা নামে ওই দুষ্কৃতীকে ফাঁসানো। কিন্তু তা সফল হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ ও বেআইনি অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সে।
মৃন্ময়বাবু বলছেন, ‘‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেই নিজেকে গুলি করে ভুয়ো অভিযোগ করার ঘটনা দেখা যায় না। এই ধরনের বিরল ঘটনায় সাজাও বিরল। গত দু’দশকে শিয়ালদহ আদালতে এমন রায় হয়নি।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পায়ে গুলি নিয়ে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল শাকিল। সে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, গোর্খা তাকে গুলি করেছে। খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে গোর্খাকে গ্রেফতার করে।
কিন্তু পুলিশি জেরায় গোর্খা জানায়, সে ঘটনার সময়ে কলকাতাতেই ছিল না। তার প্রমাণও পান তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, হাসপাতালে ভর্তি শাকিলকে ফের জেরা করতেই ভেঙে প়ড়ে সে। তার পরে তদন্তকারী অফিসার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় শাকিলের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের কাছে মামলা রুজু করার আর্জি জানান। সেই আর্জি মঞ্জুর হলে গ্রেফতার করা হয় শাকিলকে। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। ৯০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী অফিসার চার্জশিট দেন। ফলে জেল হাজতে রেখেই বিচার প্রক্রিয়া চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy