প্রতীকী ছবি।
গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেয়ারটেকার। তাঁর সামনে এসে মোটরবাইক দাঁড় করাল দুই যুবক। একটি খাম কেয়ারটেকারের হাতে ধরিয়ে তাকে আবাসনের এক বাসিন্দার কাছে পৌঁছে দিতে বলে তারা। নিরাপত্তারক্ষীও তা পৌঁছে দেন ওই আবাসিকের কাছে। খাম খুলে হতবাক সেই আবাসিক। তাঁর কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। সঙ্গে রয়েছে হুমকি। টাকা না দিলে ক্ষতি করা হবে তাঁর ছেলের! ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির সরশুনা থানা এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ওই থানা এলাকার বাসিন্দা রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ এক কর্তার বাড়ি এই চিঠিটি গিয়েছে। একটি কাগজে বাংলাতেই লেখা রয়েছে বার্তা। যার ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে চিঠি দিয়ে তোলাবাজির ঘটনা এ শহরে বিশেষ ঘটেনি। দুষ্কৃতীরা এমন প্রাচীন কায়দায় টাকা চেয়ে চিঠি দেওয়ায় নড়চড়ে বসেছে পুলিশ। স্থানীয় থানার সঙ্গেই ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখার অফিসারেরা। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত ওই দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার দুই মোটরবাইক আরোহী যুবক ওই চিঠিটি দিয়ে যায়। অভিযোগকারী কর্তার ছেলের বয়স তেরো। একটি বেসরকারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সে। পুলিশ জানায়, ঘটনার পরেই আবাসনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অভিযোগকারীর পরিবারের সুরক্ষায় সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে দফায় দফায় ওই কেয়ারটেকার সঞ্জয় দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর সব বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ওই অভিযোগকারীর সঙ্গে সম্প্রতি কারও বিবাদ হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই আবাসনের কাছে রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে বাইকটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ওই এলাকার দুষ্কৃতীদের বর্তমান অবস্থানও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy