তখন দুপুর দেড়টা। গয়নার দোকানে বসেছিলেন মালিক। সে সময়ে ঢুকল দুই ক্রেতা। গয়না আচমকাই এক জন আগ্নেয়াস্ত্র বার করে মালিকের কপালে ঠেকাল। আর এক জন কিছুটা নামিয়ে দিল দোকানের শাটার। সঙ্গে হুমকি, ‘যত সোনার গয়না আছে, বার করে দে।’ আতঙ্কিত মালিক সঞ্জিত রায় গয়না দিতে একটু দেরি করতেই এক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। সঞ্জিত চিৎকার করে লোকজন ডাকতেই দ্বিতীয় জন তাঁর গলায় ফাঁস আটকানোর চেষ্টা করে।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে বারাসতের ভদ্রবাড়ি মোড় এলাকায় নবপল্লি সার্কুলার রোডে এ ভাবেই লুটের চেষ্টা হয় ওই গয়নার দোকানে। সঞ্জিতের চিৎকারে স্থানীয়েরা ছুটে আসায় পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তবে এক জনকে ধরে ফেলে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে শুরু হয় গণপিটুনি। আর এক জনকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পৌঁছয় বারাসত ও মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটিও। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মুকুল মল্লিক ও শুভ দাস। মুকুলের বাড়ি বাংলাদেশে। সে চোরাপথে ভারতে ঢুকে ময়না উত্তরপাড়ায় মাসির বাড়িতে ছিল। শুভর বাড়ি লিলুয়া থানার পঞ্চাননতলায়।
এ দিকে, পুজোর মুখে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy